বাস্তবতা আর চ্যালেঞ্জ জেনেও শান্তর বড় স্বপ্ন

ভারতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দু’টি ম্যাচই জিততে চায় বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষ ভারত আর লড়াইটা তাদের মাটিতে করতে হবে। যেখানে এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকে টাইগাররা কোনো জয়ের দেখা পায়নি। শুধু কি তাই এখন পর্যন্ত দুই দলের মুখোমুখি ১৩ টেস্ট ম্যাচের ১০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে দুটি দলের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। তাদের মধ্যে ভারত একটি। সান্ত্বনা বলতে গেলে নিজেদের দেশের মাটিতে মাত্র দুটি ম্যাচে ড্র। যেখানে কিনা নিজেদের চেয়ে বৃষ্টির অবদানই বেশি। গতকাল বৃষ্টিস্নাত দিনে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ভারত সফরে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টাইগার অধিনায়ক বাস্তবতা ভালোভাবেই জানেন যে প্রতিপক্ষকে তারা হারাতে চাইছেন এত সহজ নয়। কিন্তু অসম্ভব তো নয়! সবেমাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা। সেই অনুপ্রেরণায়ই এবার ভারতকে হারানোর মূল মন্ত্র টাইগার অধিনায়কের কাছে। গতকাল দুুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল। ১৯শে সেপ্টেম্বর সিরিজের প্রথম টেস্ট চেন্নাইয়ে। এই ম্যাচ দিয়েই ৫ বছর পর ভারতে টেস্ট মিশন শুরু করবে টাইগাররা। দেশ ছাড়ার আগে এই সিরিজ নিয়ে অবশ্য প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতা নিয়েও কথা বলেছেন শান্ত। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-

বাস্তবতা আর চাওয়া!
শান্ত: এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হতে যাচ্ছে। তবে একটা ভালো সিরিজের পর অবশ্যই একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দলের ভেতর আছে, দেশের মানুষের মধ্যেই আছে। প্রত্যেক সিরিজই একটা সুযোগ। আমরা দুইটা ম্যাচই জেতার জন্য খেলবো। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ আমাদের লক্ষ্য থাকবে কাজটা আমরা ঠিকঠাক করতে পারছি কিনা। আমাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব তবে চ্যালেঞ্জিং।

ভারতে উইকেটের চ্যালেঞ্জ?
শান্ত: উনারা কি চিন্তা করছে এটা তো আমি বলতে পারবো না কিন্তু আমাদের স্পিন ও পেস ভালো একটা অবস্থানে আছে। ওই দলের সঙ্গে যদি তুলনা করেন অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা ওদের থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। স্পিন ওয়াইজ হয়তো কাছাকাছি আছে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওই দলকে এগিয়ে রাখবো। স্পিনারদের দিক থেকে কাছাকাছি আছে। যেহেতু যেকোনো কন্ডিশনে বল করার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের স্পিনারদের। আমি এটুকু বলতে পারি পেসার, স্পিনার এবং ব্যাটার যারাই খেলবেন প্রত্যেকে শতভাগ দেবেন। পাঁচদিন ভালো খেলতে পারলে রোমাঞ্চকর হবে।

ভারতে স্পিনাররা ব্যবধান গড়ে দিতে পারে কিনা?
শান্ত: ব্যবধানটা আসলে তখনই গড়া সম্ভব যখন আমরা পুরো দল হিসেবে খেলবো। শুধু স্পিনারদের দায়িত্ব তা না ব্যাটসম্যান এবং পেস বোলার তাদেরও সমান দায়িত্ব। পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার (শান্ত) নিচের ব্যাটিং ফর্ম?
শান্ত: আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বাংলাদেশ দল জিতুক। আমার ইচ্ছা ব্যাটার হিসেবে যেন দলে অবদান রাখতে পারি। ওটার জন্য যে রকম প্রস্তুতির দরকার ছিল আমি নিতে পেরেছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন অবদান রাখতে পারি।

দেশের মানুষের প্রত্যাশা, কোনো ফলাফল?
শান্ত: আমি একটু আগে যেটা বললাম সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে। যদি র‌্যাঙ্কিং দেখেন ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। সম্প্রতি আমরা ভালো খেলছি। ভালো সিরিজ পার করে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য হবে কীভাবে পাঁচদিন ভালো খেলতে পারি। ফলটা শেষ দিনে লাস্ট সেশনে গিয়ে হয়। পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে লাস্ট সেশনে সুযোগ থাকে কোন দল জিতবে।

ভারতের মাটিতে প্রথম জয়ের সুযোগ কতোটা?
শান্ত: এটা একটা সুযোগ। প্রত্যেকে ম্যাচ জেতার জন্য খেলবো। সুযোগ থাকবে জেতার। কিন্তু যেটা বললাম আগে এত লম্বা চিন্তা না করে শক্তি অনুযায়ী যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি পাঁচদিন। এটা গুরুত্বপূর্ণ।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.