বিমসটেকে জোর বাংলাদেশের; অগ্রযাত্রা ব্যাহত করবে ‘নেগেটিভ ফোর্স’, মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের by শফিক রহমান

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্রধান এবং প্রথম আঞ্চলিক জোট সার্ক-এ এখন আর স্বপ্ন দেখছে না বাংলাদেশ। বরং সার্কের প্রস্তাবক এই দেশটি দৃশ্যমান কোন কারণ ছাড়াই সার্ককে আড়ালে রেখে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশকে নিয়ে গঠিত আন্তঃআঞ্চলিক জোট বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) চাঙ্গা করায় ব্যস্ত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক্ষেত্রে নিজেদেরকে ‘সুবিধাজনক অবস্থানে’ দেখছেন। তারা বলেন, ‘বিমসটেকের সচিবালয় ঢাকায়। তাই আমরা সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ।’

যদি বিমসটেকে বাংলাদেশের ‘সুবিধাজনক অবস্থানে’ থাকার বাস্তব কোন প্রমাণ মিলছে না। দীর্ঘ দিন ধরে ঝুঁলে থাকা রোহিঙ্গা সমস্যাটি তার বড় প্রমাণ। বিমসটেকেরই আরেকটি সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। যাকে স্রেফ ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের নানা দেশ এবং নানা সংস্থা ও সংগঠন। কিন্তু বিমসটেকের কার্যকর কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে যখন বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তখনও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা ঝড়-বৃষ্টি আর পানি-কাদায় মানবেতর জীবনযাপন করছিল। কিন্তু রাষ্ট্র প্রধানদের ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা পর্যন্ত হয়নি।

এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও সফল কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু সেই চুক্তি বাস্তবায়নে এখন গড়িমসি করছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর চীন সফরে ইস্যুটিকে তুলতে হয়েছে। চীন বলেছে, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানামার সরকারকে রাজি করাতে চেষ্টা করবে। গত ৪ জুলাই বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে গত ১ জুলাই পাঁচ দিনের সরকারি সফরে চীন যান শেখ হাসিনা।

এদিকে বিমসটেক যাত্রা শুরু করে ১৯৯৭ সালে। ওই বছরের ৬ জুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে নতুন এই আন্তঃআঞ্চলিক জোটটি গঠন করা হয় এবং সভায় অংশগ্রহণকারী মূল আলোচক দেশ কয়টির নামের অদ্যাক্ষর অনুযায়ী জোটের নাম করণ করা হয় বিআইএসটি-ইসি (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড ইকনমিক কোঅপারেশন।

মিয়ানমার ওই সভায় পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিলেও ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর দেশটিকে পূর্ণ সদস্য পদ প্রদান করা হয় এবং জোটটির নাম পরিবর্তন করে বিআইএমএসটি-ইসি করা হয়। এর পরের বছর ১৯৯৮ সালে ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠকে নেপালকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে নেপাল ও ভূটানকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

২০০৪ সালের ৩১ জুলাই জোটটির প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম রাখা

২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় অবস্থিত বিমসটেকের সদরদপ্তর উদ্বোধন করেন। আর বিমসটেকের ১৪টি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।

কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২২ বছরে বিমসটেক কোন ক্ষেত্রেই দৃশ্যত কোন সাফল্য দেখাতে পারেনি। বরং সার্ক এসব খাতের বেশ কয়েকটিতে অনেক আগেই সাফল্য অর্জন করেছে। আর এই সাফল্যের পথ ধরেই ঢাকায় অবস্থিত সার্ক কৃষি সেন্টারটিকে (এসএসি) ‘দ্য সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসাবে’ ঘোষণার কথা বলা হচ্ছে।

তারও আগে ২০০৫ সালে ঢাকায় অবস্থিত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রটিকে (এসএমআরসি) ‘দ্য সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৫ সালে ঢাকায় শুরু হওয়া এই সেন্টারটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টি, টর্নেডো, কৃষি আবহাওয়াসহ নানা বিষয়ে গবেষণায় ও প্রকাশনায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে। কিন্তু সার্ক প্রোগ্রাম কমিটির ৪৬তম সভায় গৃহীত এক সিদ্ধান্ত বলে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রটিকে বন্ধ করে ভারতের সার্ক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের (এসডিএমসি) সঙ্গে মালদ্বীপের সার্ক কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (এসসিজেডএমসি) এবং ভুটানের সার্ক ফরেস্ট্রি সেন্টারকে (এসএফসি) একীভূত করা হয়। ফলে চাকরি হারায় আবহাওয়াবিদসহ ২৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশ হারায় গবেষণার একটি ক্ষেত্র।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে ২০০৫ সালে ১.২২ একর জমির ওপর যে কার্যালয় গড়ে তুলেছিল সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র, সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা গেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়েরই ‘বাংলাদেশ পীসবিল্ডিং সেন্টার’ নামের আরেকটি কেন্দ্রের কার্যালয়।

এদিকে ওই সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রটিকে টিকিয়ে রাখার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরে আলাদা করে কোনো আবহাওয়া-জলবায়ু বিজ্ঞান গবেষণার ব্যবস্থা না থাকার কারণে চারটি দেশের চারটি সেন্টারকে একীভূত করে যে সার্ক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (এসডিএমসি) গঠন করার সময় সেটিকে ঢাকায় রাখার দাবি উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই দাবি আর বাস্তবায়ন হয়নি। কেন্দ্রটি ভারতেই চলে যায়।

সম্প্রতি এসডিএমসি’র কার্যক্রম সম্পর্কে ধারনা পেতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইটে ঢুকতে চাইলে ঢোকা যায়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভারতে থাকা সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়টি ভালো চলছে কিন্তু এসডিএমসি’র কাজে কোন গতি নেই।

সার্কের বাকি তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে সার্ক এনার্জি সেন্টার পাকিস্তানে, সার্ক যক্ষা ও এইচআইভি এইডস সেন্টার নেপালে এবং সার্ক কালচারাল সেন্টার শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত। এছাড়া সার্কের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যানডার্ড অর্গানাইজেশন (এসএআরএসও) ঢাকায় অবস্থিত।

সবগুলো কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের কাজের ধারাবাহিকতার একটি চিত্র পাওয়া যায়। গত ২ জুলাই থেকে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয় সার্কভুক্ত দেশগুলোর চলচ্চিত্র নিয়ে ৬ দিনব্যাপী ‘৯ম সার্ক চলচ্চিত্র উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘ফাগুন হাওয়ায়’ দুটি পুরস্কার অর্জন করেছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তৌকীর আহমেদ। পুরস্কার দুটির মধ্যে একটি পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহকের জন্য এনামুল হক সোহেল ও শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনার পুরস্কার পেয়েছেন রিপন নাথ।

তবে সার্কের কাজের শ্লথগতির কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ জন্য সার্ক সামিট না হওয়াকেই দায়ি করছেন। তারা বলেন, রেগুলার কাযকর্ম চলছে। কিন্তু সার্ককে আরো সক্রিয় করতে নতুন নতুন যে নির্দেশনা এবং উদ্দীপনা দরকার সেটার ঘাটতি রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কাঠমান্ডুতে সার্কের ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে ২০১৬ সালের ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ভারতসহ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা অংশগ্রহণে অসম্মতি জানালে সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। এখনও ঝুলে আছে সেই সম্মেলন।

এদিকে শুধু শীর্ষ সম্মেলনই নয় মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং সচিব পর্যায়ের বৈঠকও হচ্ছে না। এমনকি কোন কোন বছর প্রোগ্রাম কমিটির বৈঠক যেখানে সার্কের বাজেট বরাদ্দ থেকে অন্যান্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেই বৈঠকও অনিশ্চিত হয়ে পরে। তখন সার্কের আঞ্চলিক কেন্দ্র ও সংস্থাগুলোয় অর্থ সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। নিকট অতীতে ২০১৭ সালেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।

এসব ঘটনাকে সার্ককে গালাটিপে হত্যার সামিল বলে উল্লেখ করেছেন সার্ক সংশ্লিষ্ঠরা। বাংলাদেশকে সে প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে দেখে তারা আরও বিস্মিত।

সার্কের তুলনায় বিমসটেকের গুরুত্ব কতখানি তা জানতে চাওয়া হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে। তাদের একজন কোন রাখঢাক ছাড়াই বললেন, ‘পাকিস্তান ইস নট দেয়ার’।

এই ধারনাটিকেই বিমসটেকের ‘নেগেটিভ ফোর্স’ হিসেবে উল্লেখ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, বিমসটেক যখন শুরু হয়েছে তখন কয়েকটি ‘নেগেটিভ ফোর্সকে’ নিয়ে শুরু হয়েছে। একটা হলো ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব। ভারত ভেবেছে সার্কের বাইরে যদি কিছু করা যায় তাহলে এই অঞ্চলে হয়তো কিছুটা অগ্রগতি হতে পারে। আরেকটা নেগেটিভ ফোর্স হলো চীনকে বাদ দেয়া। অথচ, এই এশিয়ায় অন্ধ না হলে চীনকে বাদ দেয়া যায় না। কারণ, ৭টি দেশের প্রতিটির আলাদাভাবে বড় বাণিজ্য অংশীদার হলো চীন। এমনকি ভারতের তাই। তাহলে চীনকে কেন বাদ দিচ্ছি?

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি নেগেটিভ দিয়ে শুরু হলে তা সামনে বেশিদূর এগুতে পারে না। ভবিষ্যতে পাকিস্তান এবং চীনকে যদি বিমসটেকের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাহলে কিছু হতে পারে। আপাতত আমি বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দেখছি না।’

আর সার্কের চলমান স্থবিরতার জন্য ভারতের একগুঁয়মিকে দায়ি করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতকে বরাবরই একটি ‘হেজিমনিক স্টেট’ হিসেবে দেখা যায়। সে চায় প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব। কিন্তু নেতৃত্বতো জোর করে আদায় করা যায়না। এর জন্য আস্থা অর্জন করতে হয়। ভারতের সেই জায়গায় ঘাটতি আছে।

সার্ক বনাম বিমসটেকের বাস্তবতা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বলেন, সার্ক যখন শুরু হয় তখনই ভারতের দাবির প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক এবং দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলোকে বাদ দিয়ে অরাজনৈতিক ও উন্নয়নমূলক পথগুলোকে বেছে নেয়া হয়েছিল। যেই দেশটির জন্য শুরুতেই এতবড় ছাড় দেয়া হলো তারা এখনও যদি এ ধরনের আচারণ করে তাহলে বিমসটেক চলবে কিভাবে?

তিনি বলেন, বিমসটেকের ধারনাতো আরও কঠিন। ওখানে মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারতো কূটনীতির ন্যূনতম শিষ্টাচারও মানছে না। তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চুক্তি করেছে কিন্তু সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না।

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‍মুখে সার্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য জোড়ালো বক্তব্য শুনেছি। আমি মনেকরি প্রধানমন্ত্রীর পথই সঠিক পথ।”

No comments

Powered by Blogger.