চীনে অগ্রগতি হলেও মানবাধিকারের রেকর্ড নাজুক: কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি

জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে চীন। ট্যাংক, সশস্ত্র ইউনিট, ড্রোন এমনকি মনুষ্যবিহীন পানির নিচে চলমান যান প্রদর্শন করছে তারা। এর মধ্য দিয়ে প্রদর্শন হচ্ছে চীনের সামরিক শক্তিও। ৭০ বছর আগে চীনে কমিউনিস্ট শাসনের শুরু হলে প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে সেখানকার অর্থনীতি। কিন্তু মানবাধিকারের রেকর্ড খুবই নাজুক। এমন অবস্থায় এই প্রদর্শনীকে হংকংয়ে বড় বিক্ষোভের বিরুদ্ধে একটি শক্তি প্রদর্শন হিসেবেও দেখা হচ্ছে। কমিউনিস্টরা রক্তাক্ত একটি গৃহযুদ্ধে জয় পাওয়ার পর ১৯৪৯ সালের ১লা  অক্টোবর মাও দেজং বা চেয়ারম্যান মাও গণচীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই থেকে চীনে উন্নতি হতে থাকে অসাধারণ গতিতে।
কিন্তু উন্নতির নিচে চাপা পড়তে থাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি। মানবাধিকারের রেকর্ড মোটেও ভাল নয় সেখানে। বিশেষ করে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কঠোরতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাদেরকে ধরে নিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে।

এমন বন্দি মুসলিমের সংখ্যা কয়েক লাখ। এসব নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সম্প্রদায় সোচ্চার হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এরই মধ্যে রাজধানী বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজ হচ্ছে। তিয়ানআনমেন স্কয়ারে এতে অংশ নিচ্ছেন ১৫ হাজার সেনা। সেখানে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত কোনো শক্তিই চীনা জনতা ও জাতির অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারে নি।
অনলাইন বিবিসি বলেছে, যে স্থানে দাঁড়িয়ে মাও চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঠিক সেই জায়গায় মাওয়ের মতো স্যুট পরে বক্তব্য রাখেন শি জিনপিং। প্রতরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজকের কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হচ্ছে ৫৮০টি সামরিক সরঞ্জাম। আকাশে  উড়পবে ১৬০টি এয়ারক্রাফট। এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের বানানো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র, স্টিলথ ও মনুষ্যবিহীন যন্ত্রের সক্ষমতার  প্রদর্শনী।

No comments

Powered by Blogger.