এক রাতের জন্য ৪০ হাজার পাউন্ড প্রস্তাব

সেলিব্রেটি তারকাদের অনেকের জীবনের বাঁকে বাঁকে থাকে থাকে অন্ধকার ইতিহাস। তাতে অনেকেই তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। অন্ধকারে সেই সম্পর্ক স্থাপন করে খদ্দেররা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর ওই তারকা উপার্জন করে নেন বড় অংকের অর্থ। এমনই দু’জন তারকার কাহিনী আজ তুলে ধরা হলো।
সেলিব্রেটি তারকা লরা গডজার। ২০১৪ সালে সাবেক প্রেমিক জ্যাক ম্যালিনের সঙ্গে তার ৬ সেকেন্ডের একটি সেক্স টেপ ফাঁস হয়ে পড়ে। তিনি তখন ছিলেন দুবাইয়ে। এমন ঘটনার পর তিনি সেখান থেকে দ্রুত ফিরে যান নিজের দেশ বৃটেনে।
কিন্তু তার আগেই তাকে দুবাইয়ের এক ধনকুবের এক রাতের জন্য ৪০ হাজার পাউন্ড প্রস্তাব করে বসেন। এ বিষয়টি ওই বছরই রিয়েলিটি টিভি শো সেলিব্রেটি বিগ ব্রাদারে নিজেই প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, দুবাইয়ের এক যুবক আমাকে বলল, আমি এক রাতের জন্য তোমাকে ৪০ হাজার পাউন্ড দেব। এ কথা তুমি কাউকে বলবে না। লরা বলেন, ওই যুবকের সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ওদিকে বৃটিশ মডেল সোফি অ্যান্ডারটন তো নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি উচ্চ পর্যায়ের একজন পতিতা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে যখন তার খ্যাতিতে ধস নামে তখন তিনি এ কাজে লিপ্ত হন। এ সময় তিনি ছিলেন মাদকাসক্ত। এ ঘটনার জন্য সম্পদশালী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ১৫ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। সোফি অ্যান্ডারটন বৃটিশ একটি পত্রিকাকে বলেছেন, একেবারে প্রথমবার আমাদের এমন সম্পর্ক মাত্র দুই মিনিটে শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম- এটাই কি সব? ১৫ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে এতটুকু?
৪২ বছর বয়সী সোফি তখন প্রতি রাতে পান করতেন পুরো এক বোতল ভদকা। আর দিনের বেলা ব্যবহার করতেন কোকেন। তার বয়ফ্রেন্ড ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলকিপার মার্ক বোসনিক। সোফি এত বেশি মাদকাসক্ত হওয়ায় তিনি তাকে ফেলে যান। সোফি বলেন, আমার কোকেন শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার ক্যাশকার্ড প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছিল। আমার ডিলাররা অর্থ দাবি করে ফোন করতে শুরু করেন। তখন আমি জানতাম যে করেই হোক আমাকে অর্থ উপার্জন করতে হবে।
এমন সময়ে একজন কলগার্লের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সেই কলগার্ল তাকে এমন পোশাক পরতে বলেন যাতে পুরুষরা আকৃষ্ট হয়। শরীর দাবি করলে তাকে প্রতি ঘন্টার জন্য ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড দাবি করতে পরামর্শ দেন ওই কলগার্ল। এর ফলে সোফি অ্যান্ডারটন মোট ৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছেন। তা থেকে আয় করেছেন ৫০ হাজার পাউন্ড। তা দিয়ে মাদকের বাকি অর্থ ও ফ্ল্যাটের কিস্তি শোধ করেছেন। তাই তিনি মডেলিং ক্যারিয়ারকে দায়ী করেন। তার মতে, ওই ক্যারিয়ারই তাকে পতিতাবৃত্তির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সোফি অ্যান্ডারটন তাই জোরালো কণ্ঠে বলেন, এই পথে যে আমি একাই গিয়েছি এমন না। এটা হলো মডেলিং দুনিয়ার অন্ধকার দিক। আমার জানা মতে, কমপক্ষে দু’জন সুপারমডেল এই পথে রয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.