কানাডায় পার্ক ও লেকে কয়েকদিন by তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব

ঢাকা থেকে টরন্টো। পুরো ২২ ঘণ্টার যাত্রা। পথে বিরতি ছিল দু’বার– ভারতের দিল্লি ও নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। টরন্টোতে উঠলাম এক আত্মীয়ের বাসায়। প্রথম দিন বিশ্রাম নিয়েই কাটলো। পরদিন সিএন টাওয়ার দেখতে গেলাম। ১৪৭ তলা ভবনটি থেকে টরন্টো শহরের অর্ধেকের বেশি দেখা যায়। এখানে রেস্তোরাঁও অনেক।
কানাডার জেসপার ন্যাশনাল পার্কে মালিং লেক
সিএন টাওয়ারের পাশেই রিপলিস অ্যাকুরিয়াম। ক্লান্তি থাকায় সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। কানাডায় তৃতীয় দিন আমরা সকালের ফ্লাইট ধরে চলে যাই এডমন্টন। গন্তব্য ছিল জেসপার ও বেন্ফ। প্রায় পাঁচদিন ছিলাম ওখানে।
এডমন্টন থেকে জেসপার যেতে লাগে দুই ঘণ্টার মতো। বিমানবন্দর থেকে বাসের টিকিট কেটে রওনা হলাম। জেসপার যেতে যেতে বিকেল গড়ালো। আর ঠাণ্ডাও যেন বাড়তে শুরু করলো। সন্ধ্যায় তেমন কিছু দেখতে পারিনি, কারণ তাপমাত্রা তখন ছিল শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে নৈশভোজ সেরেই ঘুমিয়ে পড়তে হলো।
কানাডার জেসপার ন্যাশনাল পার্ক
সকালে ছিল অবাক করা দৃশ্য। বরফঢাকা পুরো শহর, সেই সঙ্গে তুষারপাত। সারাদিনের পরিকল্পনায় ছিল লেকগুলো ঘুরে দেখা। তাই একটি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আগে থেকেই ভেবে রেখেছি বিকেলে লেক লুইস দেখবো। পথে চোখে পড়ল জানা-অজানা অসংখ্য পশু-পাখি।
লেক মালিং দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না! মন ভরে উপভোগ করেছি শুধু। আর মোরাইন লেক নিয়ে কী বলবো! ছবিই কথা বলে।

মোরাইন লেক ঘোরার পর বাসে চড়লাম। গন্তব্য বেন্ফ। সময় লাগলো প্রায় দুই ঘণ্টা। সেখানে দেখার মতো ছিল বো লেক ও মিউজিয়াম ফর হিস্ট্রিক্যাল সাইট। গাড়ি নিয়ে ঘুরে দেখলাম অনেক কিছু।
কানাডার শহরগুলোর মধ্যে ভ্যানক্যুভারে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় স্থান ছিল গ্রুজ মাউন্টেন। সেখানে অবসর কাটানোর অনেক সুযোগ-সুবিধা। এছাড়া আমরা ঘুরলাম ইংলিশ বে ও কেপিলানো সাসপেনশন ব্রিজে।
নায়াগ্রা ফলসের কানাডার অংশ
হোয়েল ওয়াচিং ট্যুরে বেরিয়ে নৌযানে চড়ে সমুদ্রে তিমি মাছ দেখতে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু হতাশ হতে হলো। পরে ঘুরতে গেলাম কুইন এলিজাবেথ পার্কে। এত সুন্দর করে সাজানো, যেন ছবির মতো! প্রায় ঘণ্টাখানেক দারুণ সময় কাটলো সেখানে।
কানাডার জেসপার ন্যাশনাল পার্কে মালিং লেক
>>>ছবি: লেখক

No comments

Powered by Blogger.