পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ভারতকে ফ্রান্সের চাপ by আবদুল মোমিত রোমেল

কাশ্মীর সংকট পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করে নিষ্পত্তির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাপ দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। জি-৭ সম্মেলনে এ দু্‌ই নেতার বৈঠকে এ চাপ দেয়া হয়। এছাড়াও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবহাওয়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার বিয়ারটিজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ম্যাক্রোনের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। মোদি সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ম্যাক্রোন নতুন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ফরাসি সরকারের এক মুখপাত্র বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও বিদেশ বিষয়কমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে দ্রিয়ান। আলোচনায় উঠে আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গও।

তখনই ফরাসি বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়োল ম্যাক্রোন উত্তেজনা এড়িয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দেন। গত ৫ই আগস্ট ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। ফলে জম্মু-কাশ্মীর তার বিশেষ মর্যাদা হারায়। এর আগে ভারত সরকার হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে ওই অঞ্চলটিতে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরিদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এ ছাড়া দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কাশ্মীরি জনগণের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেয়া হয়। মঙ্গলবারের আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরাইশি ফ্রান্সের কাছে আশা প্রকাশ করেন- শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ফ্রান্স ভূমিকা নেবে। কোরাইশি ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে দ্রিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কাশ্মীর বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় কোরাইশি ভারতের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের শান্তি এবং নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি অধিকৃত কাশ্মীরে কারফিউর ফলে সেখানকার মানুষের ভোগান্তির বিষয়টিও তুলে ধরেন। যদিও প্রথম থেকেই কাশ্মীরকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বৃটেনসহ একাধিক দেশ। পাকিস্তানের আর্জিতে বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওঠে। কিন্তু সেখানেও ‘বন্ধু’ চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশের সমর্থন পায়নি পাকিস্তান।

No comments

Powered by Blogger.