নয়ন বন্ডের সাথে বিয়ের খবর নিয়ে যা বললেন মিন্নি

রিফাত শরীফ হত্যার প্রধান আসামী সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের সাথে আগে বিয়ে হয়েছিল মিন্নির। একজন কাজীর বরাত দিয়ে খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। তবে এই বিষয়ে রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি বলছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে নয়ন বন্ডের সাথে বিয়ের যে কাবিন নামা প্রকাশ হয়েছে সেটা আসলে সত্যি নয়। একদিন জোরপূর্বক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে, সেখানে একটি বইয়ের মতো কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে নয়ন বন্ড ও তার সঙ্গীরা। মিন্নি বলেন, ওটা কিসের কাগজ সেটা আমি পড়ে দেখিনি। বিষয়টি আমি তখন ছোট কাকাকে জানিয়ে ছিলাম।
তবে নয়ন বন্ড ওই স্বাক্ষর নেয়ার পরেও মিন্নিকে স্ত্রী বলে দাবি করেনি। মিন্নি বলেন, নয়ন আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখাতো। বলতো আমাকেই তোর বিয়ে করতে হবে, থাকতে হবে আমার সাথে। তার এই হুমকির কথা আমার স্বামী রিফাতও জানতো। তিনি বলেন, রিফাতের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে আনুষ্ঠানিক ভাবে। ওই বিয়েতেও কোনো বাধা দেয়নি নয়ন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সে আবার আগের মতো জালাতন করতো। এটাও আমার হাজবেন্ট জানতো।
সম্প্রতি বরগুনায় স্ত্রীর সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যার পর ঘটনাটি নিয়ে আলোড়ন তৈরী হয়। এরমধ্যেই খবর আসে রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নির সঙ্গে প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিল। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বরগুনা পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার। বরগুনা পৌরসভার ডিকেপি রোডের কেজি স্কুল নামক স্ট্যান্ডে তার অফিস।
নয়ন বন্ডের ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ের প্রথম স্বাক্ষী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় আসামি বাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজি। গত বছরের ১৫ অক্টোবর আছরের নামাজের পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের দেনমোহর হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। তবে দেনমোহরের কোনো নগদ পরিশোধ ছিল না।
কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিয়ে করার জন্য নয়ন ও মিন্নিসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক আসে আমার অফিসে। এসময় নয়ন ও মিন্নি তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রমাণস্বরূপ এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে আসে। এরপর আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা জানতে চাইলে তারা বলে, মেয়ের বাবা আসবে না, আপনি মেয়ের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মিন্নির মা পরিচয়ে একজন আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
তিনি আমাকে বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমরাতো জানি। মিন্নির বাবা বিয়েটা এখন মানবে না। আপনি বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ঠিকই মেনে নেবেন। এরপর আমি পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নয়ন ও মিন্নির বিয়ে সম্পন্ন করি। এ বিয়ের উকিল ছিলেন শাওন নামের একজন। শাওন ডিকেপি রোডের মো. জালাল আহমেদের ছেলে।

No comments

Powered by Blogger.