অভিনব কায়দায় চলন্ত ট্রেন থেকে মোবাইল ছিনতাই

সিলেট থেকে ছেড়ে চট্টগ্রামগামী আন্ত:নগর পাহাড়িকা ট্রেনের জানালার পাশে বসা এক যাত্রী মোবাইলে কথা বলছিলেন। শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের পুর্ববিরাইমপুর আউট স্যিগনাল ব্রীজের কাছে আসা মাত্র ওৎ পেতে থাকা তিন কিশোর অভিনবপন্থায় বাঁশ দিয়ে হাতে আঘাত করে তার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের আটক করা হয়েছে।
এরা হলো- শ্রীমঙ্গল শহরতলীর পুর্ববিরাইমপুর এলাকার এরশাদ মিয়ার ছেলে কালন মিয়া(১৮),মাতু বাগালের ছেলে কামাল(১৯) ও একই এলাকার ইছাক মিয়া(১৬)।
স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগ নেতা সাদিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে পুর্ববিরাইমপুর আউট স্যিগনাল ব্রীজের কাছে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনের জানলার পাশে বসা এক যাত্রী মোবাইলে কথা বলছিলেন। ওই সময় ওৎ পেতে থাকা তিন ছিনতাইকারী বাঁশ দিয়ে তার হাতে আঘাত করে চলন্ত ট্রেন থেকে মোবাইল মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় পাহাড়িকা ট্রেনটির ধীরগতি হলে ওই যাত্রী ট্রেন থেকে দ্রুত নেমে গিয়ে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ওই তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সাদিকুল বলেন, ‘এরা বহুদিন যাবৎ চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের একই কায়দায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোন মাটিতে ফেলে ছিনতাইয়ের ঘটনা করে আসছে।
কয় দিন আগেও কালন নামে একটি ছেলে চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীকে মোবাইলফোনসহ টেনে নামিয়ে মাটিতে ফেলে আহত করে। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
কিন্তু এর কয়দিন পর সে কোর্ট থেকে জামিনে এসে আবার সেই একই কায়দায় আন্তঃনগর ট্রেনে ছিনতাই শুরু করেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, ‘এরা তিনজনই পেশাদার কিশোর অপরাধী। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের আঘাত করে মোবাইল ছিনতাই করে। এদের বিরুদ্ধে ওই যাত্রী বাদী হয়ে ফৌজধারী আইনে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পবিার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.