জাকির নায়েককে ফেরত আনতে ভারতের চেষ্টা, আগের সিদ্ধান্তে অটল মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সাইফুদ্দিন আব্দুল্লাহ শুক্রবার ইসলাম প্রচারক ড. জাকির নায়েককে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে বিচারের জন্য জাকির নায়েককে ফেরত চায় ভারত।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে ভারতের অনুরোধ প্রত্যাখানের অবস্থান থেকে মালয়েশিয়া সরকার সরে যায়নি। মালয়েশিয়া জাকির নায়েককে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের কাছ থেকে আমরা আবেদন পেয়েছি। তবে তখন আবেদনটি পাওয়া গেছে তা বলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আমাদের মূল সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।
মানি লন্ডারিং অভিযোগে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট ড. জাকিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তার আগে সংস্থাটি জানায় যে তারা মালয়েশিয়ার কাছে ড. জাকিরকে ফেরত চাইবে।
মানি লন্ডারিং বিষয়ক ভারতের বিশেষ আদালত (পিএমএলএ) জাকির নায়েককে শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু ড. জাকির বলছেন যে তিনি দণ্ডিত না হওয়া পর্যন্ত মুক্ত থাকতে পারবেন এ ব্যাপারে লিখিত গ্যারান্টি পেলেই শুধু আদালতের সামনে হাজির হবেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুন ড. মাহাথির মোহাম্মদ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন যে তার দেশ চাইলে ভারতের এক্সট্রাডিশন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। মঙ্গোলিয়ার নাগরিক আলতানতুইয়া শারিবুকে হত্যার অভিযোগে বিচারের জন্য মালয়েশিয়া তার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সিরুল আজহার ওমরকে ফেরত চাইলে অস্ট্রেলিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে পাঁচ জঙ্গির হামলায় ২৯ জন নিহত হওয়ার পর ভারতীয় পুলিশ ড. জাকিরের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করে। তবে তার আগেই তিনি ভারত থেকে চলে যান।
তার বক্তব্য শুনে একজন হামলাকারি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো বলে অভিযোগ করা হয়।
মালয়েশিয়ার সাবেক বারিসান ন্যাশনাল সরকার ২০১৫ সালে জাকির নায়েককে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা দেয়।

No comments

Powered by Blogger.