ট্রাম্পের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন রাশিদা তিলাইব

মার্কিন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের দু’ঘণ্টার মাথায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর তীর্যক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রাশিদা তিলাইব। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম দুই মুসলিম নারী সদস্যের একজন। বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের পরই এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখোমুখি করার হুমকি দেন। এই হুমকি দিতে গিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টকে ‘অসভ্য’ আখ্যা দেন। বলেন, ‘ডেমোক্রেটরা অবশ্যই ওই অসভ্য ব্যক্তিকে অভিশংসনের মুখোমুখি করবে।’ আর এ নিয়ে বেজায় চটেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন মুল্লুকে। রাশিদার আক্রমণাত্মক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নিজের স্বভাবের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প বেশ ঠাণ্ডা মাথায় জবাব দেন। শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, রাশিদার মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই অবমাননাকর।
ট্রাম্প বলেন- ‘আমি মনে করি তার বক্তব্য অবমাননাকর। আমি তাকে চিনি না। মনে হয় সে নতুন। নিজের ছেলে ও উপস্থিত অন্যদের সামনে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে সে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে অপমান করেছে।’ অভিশংসনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি এমন কাউকে অভিশংসন করতে পারেন না যে ভালো কাজ করছে। আমি এভাবেই দেখছি।’ এর আগে শুক্রবার সকালে এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চায়। কেননা তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, রাশিদা তিলাইবের মন্তব্যের সমালোচনা কৌশলে এড়িয়ে গেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। রাশিদার মন্তব্য নিয়ে স্পিকার বলেন, তিনি এ ধরনের ভাষা ব্যবহার না করলেও পারতেন। তবে ট্রাম্প যেসব কথা বলেন, এটা তার চেয়ে খারাপ না। অর্থাৎ এর মধ্য দিয়ে তিনি রাশিদা তালাইবের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। তবে, রাশিদার বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন রিপাবলিকান  রাজনীতিবিদরা। তারা প্রতিনিধি পরিষদের মতো জায়গায় এ ধরনের শব্দচয়নের তীব্র বিরোধিতা করেন। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি ন্যান্সি পেলোসিকে একহাত নিয়েছেন। রাশিদার বক্তব্যের অমার্জিত শব্দ প্রত্যাখ্যান না করার কারণে স্পিকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। কিন্তু রাশিদা তার অবস্থানে অনড়। ক্ষমাপ্রার্থনায় অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আমি সবসময় সত্য বলে যাবো। এটা শুধু ডনাল্ড ট্রাম্পের বিষয় না। আমাদের সবার বিষয়। সাংবিধানিক সংকটের মুখে আমাদের সবাইকে  সোচ্চার হতে হবে।’ তবে, সাংবিধানিক সংকট বলতে কী বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেন নি রাশিদা।

No comments

Powered by Blogger.