শপথ নিলেন কাভানা

তীব্র বিতর্ক, সমালোচনার পর সেই ব্রেত কাভানাই যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেন। শনিবার তাকে শপথ বাক্য পড়ানোর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদের অধিকারী হলেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখনও তোলপাড় চলছে। তার মধ্য দিয়ে তার নিয়োগ নিয়ে সিনেটে ভোট হয়। তাতে সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি বিচারক হিসেবে নির্বাচিত হন। সিনেটে তার পক্ষে ৫০টি ও বিপক্ষে ৪৮টি ভোট পড়ে। অর্থাৎ মাত্র দুটি ভোট বেশি পেয়ে তার কপাল খুলে গেল। তার এ বিজয়কে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় বিজয় বলে দেখা হচ্ছে।
তিনিই বেত কাভানাকে এই পদে নমিনি করেছিলেন। আর তার পরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠতে থাকে। কিন্তু তাকে একা ফেলে সরে যান নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি সমর্থন দিয়ে তার পাশে থেকেছেন। শনিবার যখন ব্রেত কাভানা শপথ নিয়ে বিচারপতি হলেন, তখন নিশ্চয় অনেকটা স্বস্তি পেয়েছেন ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
সিনেটে যখন ৫০-৪৮ ভোটে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাকে নিশ্চিত করা হয় তখন পাবলিক গ্যালারি থেকে প্রতিধ্বনি উঠছিল ‘শেম, শেম, শেম’ বলে। আর তার নিয়োগ নিয়ে জাতি মারাত্মকভাবে বিভক্ত। সিনেট ভোটেই সে দৃশ্য উঠে এসেছে। কারণ, মাত্র দুটি ভোট বেশি পেয়েছেন কাভানা।  এই নিয়োগ নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশে অনেক বিতর্কিত ইস্যুতে কাজ করতে হবে প্রেসিডেন্টকে। আর এ সময় জাতীয় স্বার্থে কতটুকু দেশকে দিতে পারবেন কাভানা তা দেখার বিষয়। কারণ, সেখানে গর্ভপাত, সমকামীদের অধিকার, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা, সমাজে ধর্মের ভূমিকা কি তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। এসব বিষয়ে কাভানাকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সিনেট ভোটের কয়েক ঘন্টা পরে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস সুপ্রিম কোর্টে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। বেত কাভানা এখন বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডির স্থলাভিষিক্ত হবেন। তবে কাভানাকে যখন শপথ পড়ানো হচ্ছিল তখন বাইরে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে তাদেরকে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে পিছু হটিয়ে দেয়।
তবে কাভানার নিয়োগ ও শপথ সম্পন্ন হলেও নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে যে মধ্যবর্তী নির্বাচন তার প্রচারণার কেন্দ্রে থাকবে কাভানাকে নিয়ে বিতর্ক। রিপাবলিকানরা এটা ধরেই নিয়েছেন, যেসব স্থানে তাদের অবস্থান নড়বড়ে সেখানে এ ঘটনা তাদেরকে আরো নাড়া দেবে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা মনে করছেন, রিপাবলিকান নারী ভোটাররা এ কারণে নিজেদের দলীয় প্রার্থীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। ফলে প্রতিনিধি পরিষধে তারা ভাল অবস্থানে চলে আসবেন।

No comments

Powered by Blogger.