কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ আজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে কোটা সংস্কারের দাবিতে গঠিত আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ভাইদের ওপর অতি উৎসাহী কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই। এছাড়া রংপুরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় এবং আন্দোলনকারীদের ছবি তুলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। অন্যদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও ছবি তোলেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ ও মহান সংসদে প্র্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আমরা দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করব। বিক্ষোভ চলাকালে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’ এসময় আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং অংশ নিয়েছে তাদের ওপর ও তাদের পরিবারের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দীনের নিরীহ পিতা-মাতার ওপর চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীরা শুধু এই আন্দোলনের কারণে হামলা করছে। আমরা কি দোষ করেছিলাম? আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। এ কারণে কি আমাদেরকে হয়রানি করা হবে? এসব সন্ত্রসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।’ আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ৩১ দিন পার হলেও এখনো প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় তারা আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েছিলেন ৭ই মে’র মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। কিন্তু আজকে ১২ই মে হলেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। তাই বারবার তাগাদা দিয়ে আসছিলাম আমরা বাংলার ছাত্র সমাজ আর আন্দোলন করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে দেয়া প্রতিশ্রুতি কেন রক্ষা করা হচ্ছে না? তাহলে কি ছাত্র সমাজের সঙ্গে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘কোটা থাকবে কি না এটির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি বাংলার ছাত্র সমাজের সঙ্গে একটি প্রহসন। প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে স্পষ্ট ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপনের জন্য কোনো কমিটির দরকার নেই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কমিটি করলে করতে পারে। আমরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছি না। আমরা সরকারের উন্নয়নের সহযোগী। এজন্য বারবার আমরা সময় দিয়েছি।’

No comments

Powered by Blogger.