জলঢাকার আলু এখন বিদেশে

নুর ইসলাম (৩৫), নীলফামারী জলঢাকার বালাগ্রামের শালন গ্রামে। তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে ১২ বস্তা আলু বীজ রোপণ করেছেন। তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। লভ্যাংশের আশায় কার্ডিনাল ও জ্ঞানুলা জাতের আলুতে বেশি প্রাধান্য দেন। তবে বাজারে বর্তমানে এ আলু ২ শত টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আলুতে যা ব্যয় করেছেন তা লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ লোকসান পোষাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি কৃষক গৃহস্থদের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করে তা মালয়েশিয়ায় পাঠাচ্ছে বেশি মুনাফা পাওয়ার আশায়। শুধু নুর ইসলাম নন কৃষক রাশেদ উদ্দিন, তৌহিদুল ইসলাম তারাও আলু চাষাবাদ করে লোকসান পোষাতে এ আলু জমিতে বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় পাঠাচ্ছে। কার্ডিনাল জাতের আলু রোপণ করে ৭৫ দিনের মাথায় পাওয়া যায় ও অন্যান্য জাতের আলু ৩ মাসের মাথায় পাওয়া যায়। বর্তমানে আড়তদাররা ৮ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করছেন বিদেশে পাঠানোর জন্য। রোববার নুর ইসলাম আরো জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলুতে লাভ পাওয়া যায় বেশি তাই এ আলু লাগিয়েছি। বাজার দাম অনুয়ায়ী যা খরচ
করেছি তা উঠে আসছে না। বিকল্প পন্থায় এ আলু আড়তদারদের মাধ্যমে বিদেশে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক জানান, জলঢাকায় এ বছরে ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যেখানে আলু উৎপাদন প্রায় ৬৮ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া আশানুরূপ হওয়া ও কৃষকগণ আগ্রহী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে কিছুটা বেশি থাকায় কৃষকগণ মোটামুটি লাভবান হচ্ছেন। তবে বিভিন্ন স্থানের আলু মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলার গোলনার বিসমিল্লাহ, বায়োটেক এবং সিনজেনটা কোম্পানি লেডিরোসোডা, জ্ঞানুলা সহ বিভিন্ন জাতের আলু বিদেশে রপ্তানিতে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এতে কৃষকগণ বেশি দাম পেয়ে লাভবান হবার পাশাপাশি আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

No comments

Powered by Blogger.