অস্থায়ী আদালতে খালেদার আরও ১৪ মামলা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা আরও ১৪টি মামলা বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুটি দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে। আদালত সূত্র জানায়, যে ১৪টি মামলা স্থানান্তর করা হচ্ছে তার মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে ৯টি, বিশেষ জজ আদালতে ৩টি ও ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২টি মামলা বিচারাধীন আছে। মামলাগুলোর মধ্যে দুর্নীতির ৩টি মামলা সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা। বাকি ১০টি মামলা ২০১৫ সালে, আর একটি ২০১৬ সালে করা। তবে অস্থায়ী জজ আদালতে মামলা স্থানান্তরের বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না খালেদার আইনজীবীরা।
মাহবুব উদ্দিন এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোকে ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে। তাঁকে হয়রানি করা, জাতির কাছে ছোট করা এবং রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সরকার এসব করছে। মামলা স্থানান্তর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় বলে দাবি করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই মামলাগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে। বর্তমানে অস্থায়ী আদালতে যে দুটি মামলা চলছে তার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি হবে ৯ ও ১০ জানুয়ারি। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলেই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে। আদালতের নথি থেকে দেখা গেছে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার ৫টি, রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা (হুকুমের আসামি), ইতিহাস বিকৃতি করা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি, ভুয়া জন্মদিন পালনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের আদালতে ৩২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ, বিশেষ জজ ও মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আছে ১৮টি। এই ১৮টির মধ্যে ২টি মামলা (জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা) আগেই অস্থায়ী আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ৪ জানুয়ারি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকই অস্থায়ী আদালতের বিশেষ এজলাসে বসে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।

No comments

Powered by Blogger.