চট্টগ্রামে গুলি করে যুবদল নেতাকে হত্যা

চট্টগ্রামে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ী মো. হারুন চৌধুরী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানার মাদারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় হারুনকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী হারুন ডবলমুরিং থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি নগর বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর ভাই আলমগীর চৌধুরীর ছেলে। শুভপুর বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করার জের হিসেবে হারুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে ছাত্রদল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন হারুন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে দেয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে পরপর তার বুকে তিনটি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে আতঙ্কিত লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে সরে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার যুগান্তরকে জানান, গুলিবিদ্ধ হারুনকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তার বুকে তিনটি গুলি লেগেছে। নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুভপুরে আয়োজিত একটি শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কারা কী কারণে তাকে গুলি করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আনন্দ সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন চসিকের তিন কাউন্সিলর।
চসিকের ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ শেষে পেছন দিকে আমরা গুলির শব্দ শুনি। এরপর সেখানে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে ট্যাক্সিতে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আক্তার যুগান্তরকে জানান, এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ দেখে মনে হচ্ছে কোনো পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ রাতে যুগান্তরকে জানান, তিন দিন আগে ছাত্রলীগের কিছু চিহ্নিত ক্যাডার শুভপুর বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করতে গেলে একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয় লোকজন। এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে ওই ক্যাডারকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে ছাত্রলীগ। সিরাজ বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করার কারণেই ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যুবদল নেতা হারুনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.