বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিক্রি করছে ট্রাম্পের কোম্পানি

এ ছাড়া অনলাইন শপটি চীনের তৈরি কিছু পণ্যও বিক্রি করছে। ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক এখনও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই। আর এগুলো পরিচালনা করেন তার ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র। খবর দ্য ডেইলি বিস্ট। ওয়াশিংটন পোস্টের অপর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার নামে একটি পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে। আর এ ব্র্যান্ডের কাপড় তৈরি হয় বাংলাদেশ, চীন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে। ৯৭ শতাংশ কাপড়ই এ দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে জিন্স জ্যাকেটই বেশি আমদানি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও তার ফ্যাশনকে অনেকে অনুকরণ করেন। তাই ইভাঙ্কা ট্রাম্প ব্র্যান্ডের প্রচলনও বেশ। ২০১৬ সালে পোশাক বিক্রির তালিকায় এ ব্র্যান্ড ছিল এগিয়ে। এ ব্র্যান্ডটি তাদের পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মান অনেক ভালো হওয়ায় এখানকার কাপড়ের অনেক চাহিদা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় শ্রমিক ইস্যু নিয়ে নানা কথা থাকলেও এখানকার কাপড় অনেক উন্নত মানের। তাই ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ব্র্যান্ড ছাড়া অন্য নামিদামি ব্র্যান্ডগুলোও বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘হায়ার অ্যামেরিকান’ ও ‘মেইড ইন অ্যামেরিকা’ নামের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য উৎপাদন করে দেশে বিক্রি করার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইভাঙ্কা ট্রাম্প ব্র্যান্ডের পোশাক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়। পোশাকের মান ধরে রাখার জন্য তারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিচ্ছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৬২ কোটি ডলার। অর্থাৎ গেল অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ৫২৯ কোটি ডলার।

No comments

Powered by Blogger.