জঙ্গি আস্তানার সেই নারীর আত্মসমর্পণ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ‘জঙ্গি আস্তানা’র সামনে অবস্থান নেয়া সুমাইয়া নামের এক নারী আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের আহ্বানে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিবজুর আলম মুন্সি যুগান্তরকে এ তথ্য দেন। তিনি জানান, সুমাইয়া ওই বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে মিষ্টুর মেয়ে। আত্মসমর্পণের পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান শুরু হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাড়িটি লক্ষ্য করে পানি নিক্ষেপ করে। এ সময় একযোগে ৬ জঙ্গি বের হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমার বিস্ফারণ ঘটালে নারীসহ ৫ জঙ্গি নিহত হয়। আর সুমাইয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে তার সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি আত্মসমর্পণে সাড়া দেন। এছাড়া জঙ্গিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) মারা যান। এছাড়া জঙ্গিদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী,
এসআই লুৎফর রহমান ও কনস্টেবল উৎপল আহত হন। তাদের রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত জঙ্গিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে অভিযানের সময় বাড়ি থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অজ্ঞাত এই শিশুদের একজনের বয়স ৫ বছর ও অপরজনের বয়স দেড় মাস। ঘটনাস্থলের এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বোম ডিজপোজাল ইউনিট এলে ভেতরে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি। এর আগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টা থেকে সাজ্জাদ ওরফে মিষ্টুর বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ীর রেলগেট বাইপাস থেকে উত্তরে ৭ কিলোমিটার দূরে বেনীপুরে বাড়িটির মালিক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে মিষ্টু। আগে তার বাড়ি ছিল একই ইউনিয়নের হাবাসপুরে। তিনি সম্প্রতি বেনীপুরে গিয়ে বাড়িটি করে সেখানে বসবাস করছেন। কৃষক মিষ্টুর বাবার নাম মৃত আব্দুর মাতিন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.