স্বর্ণস্বপ্ন আরও সবুজ নেইমারদের

দুর্দান্ত খেলে ব্রাজিলকে রিও অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে তুলে দিলেন নেইমার। স্বভাবতই তাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেশটির কোচ রজেরিও মিকালে। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে প্রথম সেমিফাইনালে হন্ডুরাসকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিক ব্রাজিল। দলকে জেতাতে জোড়া গোল করেন নেইমার ও গাব্রিয়েল জেসুস। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন মারকুইনহোস ও লুয়ান। ম্যাচের মাত্র ১৫ সেকেন্ডেই গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার। অলিম্পিক ফুটবলের ইতিহাসে এটি দ্রুততম গোলের রেকর্ড। নেইমারকে কিভাবে বর্ণনা করবেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিল অলিম্পিক দলের কোচ মিকালে বলেন, ‘একটা দানব! ... সে মুগ্ধ করে। তার প্রতিভা আছে। তার মতো আরও খেলোয়াড় খুঁজে পেতে চাই। জানতে চাই সে কিভাবে উন্নতি করেছে।’
অলিম্পিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো স্বর্ণজয়ের স্বপ্ন পূরণের শেষ ধাপে ব্রাজিলের বাধা জার্মানি। অপর সেমিফাইনালে নাইজেরিয়াকে ২-০ গোলে হারায় তারা। ফাইনাল নিয়ে মিকালে বলেন, ‘লড়াইয়ে ঘাটতি থাকবে না আমাদের। শুরু থেকেই ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণ করার দিকে নজর দেব আমরা। আমাদের ফুটবল মানসম্পন্ন। আমরা কঠোর পরিশ্রমও করি। একটি দল হিসেবে খেলছি। আমাদের আশা করার পেছনে এটাও একটা কারণ। স্বর্ণ জিততে আমরা নিজেদের সেরাটা দেব।’ গত পরশু ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি নেইমারদের। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে কানায় কানায় পূর্ণ মারাকানায় ভক্তদের উল্লাসে মাতিয়ে শুরুতেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার। হন্ডুরাসের এক ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে যান বার্সেলোনার এই তারকা ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে বাধা দিলেও নেইমারের পায়ে লেগে বল জালে চলে যায়। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৫ সেকেন্ড! ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন জেসুস।
তার এই গোলে দারুণ অবদান ছিল ম্যাচজুড়ে চমৎকার খেলা নেইমারের। ২-০তে পিছিয়ে পড়া হন্ডুরাসের আক্রমণে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। প্রতিআক্রমণ থেকে একের পর এক গোল তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ৩৫ মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে সহজেই ব্যবধান বাড়ান জেসুস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুয়ানের একটি প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন হন্ডুরাসের গোলরক্ষক। তবে স্বাগতিকদের বেশিক্ষণ ঠেকাতে পারেননি তিনি। কর্নার থেকে বল পেয়ে ৫১ মিনিটে দলের চতুর্থ গোল করেন মারকুইনহোস। কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করা লুয়ান ৭৯ মিনিটে স্কোরশিটে নিজের নাম তোলেন। ইনজুরি টাইমে তাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। তা থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.