প্রথম জয় কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির

মিরপুরে মোহামেডান একটু আগে হেরেছে প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ফতুল্লায় আবাহনীকে হারাল কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। যারা এর আগে একটি ম্যাচও জেতেনি। মোহামেডান হারলেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। কিন্তু আবাহনী? তাদের সুপার সিক্সে খেলার ওপর প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে গেল। সাত ম্যাচের চারটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে তামিম ইকবালের দল। মাহমুদুল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিন উইকেটে জয় পায় কলাবাগান। বল হাতে তিন উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি (১০৬)। ম্যাচসেরা মাহমুদুলের অধিনায়কোচিত নৈপুণ্যে প্রথম জয় পেল কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ২৮২ রান করে আবাহনী।
৪৬.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিযে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলাবাগান। আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে আবাহনী হেরেছিল ব্যাটিং ব্যর্থতায়। সোমবার ব্যাটিংয়ে ভালো করেছে তারা। তামিম ও অভিষেক মিত্র উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান তোলেন। তামিম আউট হন ৫২ বলে ৪৮ রান করে। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থতার সময়টা আরও দীর্ঘায়িত করলেন লিটন কুমার দাস। তিনি আউট হন আট রানে। সাত ম্যাচে লিটনের রান ৭৫। সর্বোচ্চ ১৯। লিটন ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানদের সবাই অবদান রেখেছেন। দলের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান অভিষেক ৮২ বলে ৬৩ রান করেন। এ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর তৃতীয় ভারতীয় রিক্রুট মনোজ তিওয়ারি ৪০, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৭ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ৪২ রানে সাত উইকেটে ২৮২ করে আবাহনী। মাহমুদুল হাসান তিনটি ও যতীন সাক্সেনা দুটি উইকেট নেন। আবাহনী হেরেছে মাহমুদুল ও যতীনের কাছে। দু’জনই দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন।
সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদুল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কলাবাগানের দুই ওপেনারকে ৪৮ রানের মধ্যে ফেরান আবুল হাসান। তৃতীয় উইকেটে মাহামুদুল ও সাক্সেনা ৭৭ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙেন জুবায়ের হোসেন। সাক্সেনা আউট হওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজ (৪) ও মাইশুকুর রহমান (৭) বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। তবে একপাশ আগলে রাখেন মাহমুদুল। ষষ্ঠ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন তাপস ঘোষ। তিনিও হাফ সেঞ্চুরির (৪৭) কাছে গিয়ে আউট হন। ১০২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদুল। তিনি আটটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান। ১১১ বলে ১০৬ করে করে সাকলাইন সজীবের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন মাহমুদুল। জয় থেকে কলাবাগান তখন ১৬ রান দূরে। শেষদিকে নূরুজ্জমান (১৭*) ও বিশ্বনাথ হালদারের (১৩*) ব্যাটিংয়ে ১৯ বল বাকি থাকতে জয় পায় কলাবাগান। তিনটি উইকেট নেন আবুল হাসান। ঢাকা লীগে সপ্তম রাউন্ড শেষে প্রথম দুটি পয়েন্ট পেল কলাবাগান। কলাবাগানের চার ব্যাটসম্যানের এলবিডব্ল– হওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.