‘বৃহত্তম’ মহড়ার প্রস্তুতি দ. কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ‘এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড়’ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। কোরিয়া উপদ্বীপে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে দুই মিত্র দেশ এ উদ্যোগ নিল। খবর বিবিসির। কোরীয় বার্তা সংস্থা ইওনহাপ একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তত তিন লাখ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার সেনা অংশ নেবে। উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘ নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপ করার কয়েক দিন পরই এ মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান মিন-কু বলেন, এবারের মহড়ার আকার হবে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। মহড়া আজ সোমবার শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। বলা হয়েছে, ‘উসকানিমূলক কার্যক্রমের’ জন্য উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দেওয়াই এ মহড়ার উদ্দেশ্য। কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া গত জানুয়ারিতে একটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় এবং তারপর একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে। এরপর ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
জাতিসংঘের অবরোধের জবাবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার এবং সাগরে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে পারমাণবিক লড়াইয়ে জড়ানোর সামর্থ্য সত্যিই উত্তর কোরিয়ার আছে কি না, তা নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকেরা সন্দেহ প্রকাশ করেন। উত্তর কোরিয়া প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণের বার্ষিক এ যৌথ সামরিক মহড়াকে তাদের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবেই গণ্য করে। কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও চীন এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া শিগগিরই নতুন অবরোধ ঘোষণা করবে: প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়া শিগগিরই নতুন এবং আগের চেয়ে আরও কঠিন কিছু অবরোধ আরোপ করবে। সিউলের একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.