ফুটবলের দেশ তামিমের প্রিয় প্রতিপক্ষ

এশিয়া কাপে দুই ম্যাচে মাত্র ২০ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ এবং ভারতের বিপক্ষে ১৩ রান। টি ২০ বিশ্বকাপে শুরুতেই দারুণ একটি ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন এই বাঁ-হাতি বাংলাদেশী ওপেনার। ফুটবলের দেশ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০১২তে দুটি ম্যাচ খেলা তামিম ডাচদের প্রিয় প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছেন। টি ২০তে তামিমের চার হাফ সেঞ্চুরির তিনটিই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ক্ষুদে ফরম্যাটে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে। অপরাজিত ৮৮। বুধবার ধর্মশালায় ২০১৬ টি ২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তামিম। ক্যরিয়ারে ৪৭ টি ২০ ম্যাচে তামিমের ব্যাটিং গড় ২১.৯০। অথচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ২০২.০০। তামিম ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান ভালো করতে পারেননি কাল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। তামিম শুরুটা করেছিলেন ধীরগতিতে। প্রথম ১০ বলে করেন ৭ রান। সময়ের সঙ্গে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। অন্যপাশে কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশের দুটি টি ২০ ম্যাচই খেলেছেন তামিম। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডস সফরে প্রথম ম্যাচে ৬৯* এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৫০ রান করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ডাচদের বিপক্ষে আরও একটি দারুণ ইনিংস খেললেন। তামিম ইকবাল ফিফটিতে পৌঁছান তিন চার ও দুই ছয়ে ৩৬ বলে। ইনিংস শেষ করেন ৫৮ বলে ৮৩*। ছন্দময় ইনিংসে ছয়টি চার ও তিনটি ছয়। তার ৮৩ রানেই ডাচদের বিপক্ষে ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল না বলে জানান তামিম। ইনিংস শেষে তিনি বলেন, ‘ব্যাটে-বলে ঠিকমতো হচ্ছিল না। বল একটু থেমে আসছিল। তবে ১৫৩ রান এখানে চ্যালেঞ্জিং স্কোর। আমরা শুরুতেই কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। আরও কিছু রান হলে ভালো হতো।’ শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচের ধারাভাষ্যকার রাসেল আরনল্ড তামিমের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিখুঁত ইনিংস খেলেছেন তামিম। চার-ছয়ের পাশাপাশি সিঙ্গেলও নিয়েছেন।’ টি ২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ তিন ইনিংসের মধ্যে তামিম ইকবালেরই দুটি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা তার ৮৮ রানের ইনিংস বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাকিব আল হাসানের। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে তিনি করেছিলেন ৮৪। কাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮৩* রানের ইনিংসটি খেললেন তামিম। কয়েকটি ঘরোয়া টি ২০ লীগ ম্যাচ খেলার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। কোচের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করেছি। উইকেট ব্যাট করার জন্য সহজ ছিল না। ডাচ বোলাররা ভালো লাইন-লেন্থে বল করেছে। আমরা ১৫ রান কম করেছি। এখানে খেলাটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। শ্বাস নিতে কষ্ট হয় -তামিম ইকবাল ম্যান অব দ্য ম্যাচ

No comments

Powered by Blogger.