কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সঞ্জয় দত্ত

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত বৃহস্পতিবার ইয়েরওয়াড়া কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তারা সাজা মেয়াদ সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর নীল রঙের শার্ট ও জিন্স পরিহিত হাস্যোজ্জ¦ল সঞ্জয় আজ সকালে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি একটি গাড়িতে করে লোহেগাঁও বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বিমানবন্দরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে মুম্বাইয়ে যাবেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
৫৪ বছর বয়সী সঞ্জয় জেল ভবনের ওপর উড়তে থাকা ভারতের জাতীয় পতাকাকে অভিবাদন জানান।
এ সময় পর্দার এই ‘খলনায়ক’ একটি ব্যাগ বহন করছিলেন। ব্যাগটিতে তার জিনিসপত্র ও বন্দির ফাইল ছিল।
সঞ্জয়ের স্ত্রী মান্যতা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজকুমার হিরানী এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
সিনেমার এই ‘মুন্নাভাই’ জেল থেকে বের হয়ে তার জন্য অপেক্ষমান গাড়িতে ওঠার আগে জেলখানার বাইরে দেশমাতৃকার প্রতি অভিবাদন জানান।
সঞ্জয় দত্ত তার ৫ বছরের সাজার মেয়াদের ৪২ মাস ইয়েরওয়াড়া কারাগারে ছিলেন।
তিনি এই ৫ বছরে বেশ কয়েকবার প্যারোলে মুক্তি পান। তার এই ঘন ঘন প্যারোলকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক দেখা দেয়।
তারা সমালোচকরা বলেন, সেলিব্রিটি হওয়ার কারণে তাকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষ ও তার আইনজীবীরা এই সব অভিযোগ অমূলক বলে প্রমাণ করেছেন।
১৯৯৩ সালের ১৯ এপ্রিল এই বলিউড তারকার কাছ থেকে একটি একে-৫৬ রাইফেল পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ চালানোর জন্য যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করা হয় সঞ্জয়ের কাছে পাওয়া অস্ত্রটি এর অংশ।
দীর্ঘ সময় ধরে চলা তদন্ত ও বিচারের সময় তিনি ১৮ মাস কারাগারে ছিলেন।
২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুম্বাইয়ের টাডা আদালত অস্ত্র আইনের আওতায় তাকে ছয় বছরের কারাদন্ডাদেশ ও ২৫ হাজার ভারতীয় রুপি জরিমানা করেন।
২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় বহাল রাখেন। তবে সাজার মেয়াদ হ্রাস করে ৫ বছর করা হয়। এরপর বাকি সাজা কাটানোর জন্য তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
কারা কর্মকর্তাদের মতে, সঞ্জয়কে জেলখানায় কাগজের ব্যাগ তৈরি করতে দেয়া হয়।
এই সময়ের মধ্যে ২০১৩ সালে ডিসেম্বরে তার ৯০ দিনের প্যারোল মঞ্জুর হয়।
পরে তার আরো ৩০ দিনের প্যারোল মঞ্জুর হয়।

No comments

Powered by Blogger.