ফিলিস্তিনি ধরতে পুলিশের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশকে ব্যাপক ক্ষমতা দিচ্ছে ইসরাইল। নতুন ক্ষমতাবলে নিরস্ত্র যে কোনো ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে সন্দেহমূলক শারীরিক তল্লাশি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ। ইসরাইলের জননিরাপত্তা বিভাগ রোববার এ কথা জানিয়েছে। এর ফলে ফিলিস্তিনি হত্যা আরও বাড়বে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর আল জাজিরার। চলতি মাসের শুরু থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই নতুন ক্ষমতার ঘোষণা দিল ইসরাইল। তবে এ বিলটি পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। চলতি আইনে অস্ত্রধারী কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি ও আটক করার ক্ষমতা রয়েছে পুলিশের। নতুন আইনের ফলে কারও প্রতি অস্ত্র বহনের সন্দেহ না হলেও তাকে শারীরিকভাবে তল্লাশি ও আটক করতে পারবে। ইসরাইলের জননিরাপত্তামন্ত্রী গিলাদ এরদান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের ছুরি হামলার উত্তম মোকাবেলায় এ আইন পাস হচ্ছে।’ মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের নিরাপত্তা আইনের নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেমের জাবাল মুকাবের জেলা ও পার্শ্ববর্তী ইহুদি বসতি ইস্ট তালপয়েটের মধ্যে ১৬ ফুট উঁচু প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। জেরুজালেমে ইসরাইলি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, দেয়াল নির্মাণ সাময়িক ব্যবস্থা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি উভয় পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পৃথকভাবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বন্দুক হামলায় ইসরাইলি সেনা নিহত, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের বীরসেবা এলাকায় একটি বাসস্ট্যান্ডে রোববার রাতে বন্দুক ও ছুরি হামলায় এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, হামলাকারীও নিহত হয়েছে। ওই হামলাকারী ফিলিস্তিনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসে ফিলিস্তিনিদের হামলায় এ পর্যন্ত ৮ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে ৪৩ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ভেবে ইরিত্রিয়ার নাগরিককে হত্যা ‘ফিলিস্তিনি হামলাকারী’ ভেবে ভুল করে এক ইরিত্রিয়ান নাগরিককে হত্যা করার কথা জানাল ইসরাইলি পুলিশ। রোববার রাতে বীরসেবার বাস স্টেশনে এক সশস্ত্র ব্যক্তির হামলায় এক ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার পর, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে চালানো পুলিশের অভিযানে ওই ইরিত্রিয়ান নাগরিক নিহত হন। ইসরাইলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানায়, হামলাকারী প্রথমে ইসরাইলি সেনা সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমাণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পরে হাসপাতালে মারা যায় ওই সেনা সদস্য। এরই মধ্যে ইসরাইলের আইবিএ নেটওয়ার্কে ওই ঘটনার ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম মুহান্দ আলকাবি বলে জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। তার বয়স ২১ বছর। আল জাজিরা জানায়, ওই ঘটনার পর হামলাকারীকে হত্যা করা হয়। আর দ্বিতীয় হামলাকারী সন্দেহে ইরিত্রিয়ান পথচারীকে গুলি করে ইসরাইলি গার্ডরা। অনলাইনে প্রকাশিত অন্য আরেকটি ভিডিও’র বরাতে আল জাজিরা জানায়, সেখানে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা এক ব্যক্তিকে কয়েকজন লোক লাথি মারছে বলে দেখা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.