‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জনগণের অধিকার আদায়, তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠায়’ বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করবে বলে তিনি আশা করেন।
১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। কাল মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে বিএনপি।
দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কাল সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন খালেদা জিয়া। বিকেল তিনটায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিএনপি সব সময় জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে সকল জাতীয়-রাজনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও দেশের গণতন্ত্র যতবার বিপন্ন হয়েছে বা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত এসেছে-বিএনপি সব সময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসন-গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির চ্যালেঞ্জকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশ ও জনগণের সেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে গণহত্যা গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার জন্য বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত করার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী করার জন্যই এই আইন পাস করা হয়েছে। এটি পাস হওয়ার ফলে নিপীড়িত মানুষের আইনি প্রতিকার পাওয়ার শেষ ভরসাটুকুও বন্ধ হয়ে গেছে। জনপ্রশাসন আজ্ঞাবহ হওয়ার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে।

No comments

Powered by Blogger.