রোনাল্ডোর মৃত্যুভয়

তিনি মাঠে নামলে প্রতিপক্ষের গোলকিপার ও ডিফেন্ডারদের বুকে কাঁপুনি ধরে যায়। প্রতিপক্ষের জন্য যিনি মূর্তিমান আতাংক, সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিজেও সব সময় আতংকের মধ্যে থাকেন! মৃত্যুভয় তাড়া করে তাকে। তরুণ বয়সে মারা যাওয়াটা জীবনের সবচেয়ে ভীতিকর দিক বলে মনে করেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ সুপারস্টার। অল্প বয়সে মরতে চান না রোনাল্ডো, ‘অল্প বয়সে মারা যাওয়াটা আমার কাছে খুব ভয়ের। এটা আমার সবচেয়ে বড় ভয়। তরুণ বয়সে আমি মরতে চাই না। বুড়ো হতে চাই। যখন মারা যাব তখন বয়স যেন ৮০ বা ৯০ বছর হয়।’
স্প্যানিশ ম্যাগাজিন লিবেরোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো আরও জানিয়েছেন, যতদিন সম্ভব ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান তিনি। তবে রোনাল্ডোর কাছে তার পাঁচ বছরের ছেলে, পরিবার ও বন্ধুদের চেয়ে কোনো কিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিত্যনতুন রেকর্ড ভাঙার চেয়েও ছেলের সান্নিধ্য বেশি উপভোগ করেন সিআর সেভেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রোনাল্ডোর উপলব্ধি, ‘আমি খুব সাধারণ। পরিবার, বন্ধু ও ছেলেকে নিয়েই সময় কাটাতে চাই। যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই। অবসরে ছেলের সঙ্গে খেলাটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। আমাকে ঘিরে থাকা মানুষগুলো সব সময়ই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তারা আমাকে ইতিবাচক হতে ও আগের চেয়ে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। তারাই আমার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্যক্তিগত জীবনের মতো ফুটবলেও উপভোগের মন্ত্রে নিজেকে চাঙ্গা রাখেন রোনাল্ডো, ‘মাঠের প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করার চেষ্টা করি। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি এবং চাই সমর্থকরাও যেন আমার মতো খেলাটা উপভোগ করে।’ সব সময় সেরা হওয়াই রোনান্ডোর লক্ষ্য। সেজন্য কঠোর অনুশীলনের কোনো বিকল্প দেখেন না তিনবার ফিফা ব্যালন ডি’অরজয়ী পর্তুগিজ রাজপুত্র, ‘সব সময় সেরা হওয়াটাই আমার লক্ষ্য থাকে। বছরের পর বছর একই লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিজের সেরা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাই। কঠোর অনুশীলনে নিজের সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করি। গত ৮-৯ কিংবা ১০ বছরে এটা দারুণ কাজ করেছে। সুতরাং আগামীতেও আমি একই কাজে করে যাব।’ ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.