কূটনীতিকদের সম্মানে খালেদার ইফতার

বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ইফতার করেছেন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে ইফতার করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ইফতারে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ৩৭ জন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, প্রতিনিধি ও কূটনীতিক অংশ নেন। ডানপাশে কূটনীতিক কোরের ডিন ও  ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র শাহের মোহাম্মদ এবং বামপাশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটসহ একই টেবিলে ১০ জন কূটনীতিককে নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে একই টেবিলে ইফতারে অংশ নেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কুয়েনং, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলাভ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ বিষয়ক প্রতিনিধি পেরি ম্যায়ুদুন, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়েরে লাঘামে, ফ্র্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ট, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হান ফজুল এসকায়ার ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ান ইয়ং লি ও সৌদি আরবের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স খালিদ সুলতান আলোতাইবি। এর আগে বিকাল সাড়ে ৬টায় ওয়েস্টিন হোটেলে পৌঁছে কূটনীতিক ও আমন্ত্রিতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং তাদের প্রত্যেকের খোঁজ-খবর নেন খালেদা জিয়া। পরে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। ইফতারে জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি জং, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আফরাসয়িব মেহেদী হাশমি কোরায়েশী, ওমানের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী, নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিকুমার শ্রেষ্ঠা, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবদুল রহিম, ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভেইজি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত সারাথ কে ওয়েরাগোডা ছাড়াও ইউএনডিপি, কুয়েত, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ ৩৭ জন কূটনীতিক অংশ নেন। এছাড়া কূটনীতিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ইফতারে শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এমএ রউফ, প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম আর ওসমানি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত শামীম আহমেদ, মোমেন চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, রুমিন ফারহানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর এম শাহিদুজ্জামান, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, আসিফ নজরুল, প্রফেসর মামুন আহমেদ, অ্যাডভোকেট এলিনা খান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ও সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপারনের বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল হক চৌধুরী অংশ নেন। ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, সারোয়ারি রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান,  নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, রিয়াজ রহমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নাম আহমেদ চৌধুরী,  খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, এমএ কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কূটনীতিক গোলাম আকবর খন্দকার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ও বিএনপি নেতা শ্যামা ওবায়েদ ইফতারে অংশ নেন। ইফতারের পর কূটনীতিকদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ান ইয়ং লি বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়ার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। শিগগির তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন এ কথা জানিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ইয়োর এক্সিলেন্সি- আমি কি আপনার সঙ্গে একটি সেলফি তুলতে পারি? কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের আবদার শুনে হেসে সায় দেন খালেদা জিয়া। এ সময় খালেদা জিয়ার পাশেই ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। পরে তারা তিনজন মিলে একটি সেলফি তোলেন।  সেলফি দেখে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘ওয়াও, হোয়াট এ নাইস সেলফি’।

No comments

Powered by Blogger.