নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, চারটি ধারা অসাংবিধানিক: আপিল বিভাগ

শুধুমাত্র মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকায় ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের তিনটি ধারা ও পুরনো আইন চালানোর বৈধতা দিয়ে ২০০০ সালের আইনে আরেকটি ধারা সংযোজনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টেও দেওয়া রায় বহাল রেখে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১৯৯৫-এর ৬ (২), (৩) ও (৪) ধারায় শুধুমাত্র মৃত্যুদন্ডের বিধান ছিল। ২০০০ সালের আইনের ৩৪ (২) ধারায় পুরনো আইনের ধারাগুলোতে বিচার চলার বৈধতা দেয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জে ১৯৯৬ সালে শুক্কুর আলী (১৪) নামে এক কিশোর সুমি (৭) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। বিচারিক আদালত ২০০১ সালে তার মৃত্যুদন্ড দেয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১৯৯৫-এর ৬ (২) এ বলা ছিল ধর্ষণ করে হত্যা করলে অপরাধীর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এরপর ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তার রায় বহাল রাখে। আপিল বিভাগও শুক্কুর আলীর রায় বহাল রেখেছিল। শুক্কুর আলীর রায়ের পর ২০০৫ সালে ব্লাস্টসহ দু’টি মানবাধিকার সংগঠন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের উল্লেখিত ধারাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দায়ের করে। কেননা এই ধারাগুলোতে শুধুমাত্র মৃত্যুদন্ডের কথা বলা হয়েছে। অন্য কোনও দন্ডের বিধান রাখা হয়নি। এরপর হাইকোর্ট এই ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করে। এরপর আপিল বিভাগে গেলে মঙ্গলবার আপিল বিভাগও সেই রায় বহাল রাখে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এমআই ফারুকী। রাষ্টপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

No comments

Powered by Blogger.