চট্টগ্রামের ভোটের ময়নাতদন্ত- এক কেন্দ্রে মনজুর কোন ভোটই পাননি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। একটি কেন্দ্রে কোন ভোটই পাননি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম। অন্য একটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৯ ভাগ। হালিশহর মেহের আফজল উচ্চবিদ্যালয়ের চারটি কেন্দ্রের একটিতে শূন্য ভোট পান মনজুর আলম। এই কেন্দ্রে আ জ ম নাছির পান ৭৪৬ ভোট। এ ছাড়া মনজুর আলম সাত ভোট পান দক্ষিণ পাহাড়তলী অলি আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে নাছির পেয়েছেন ১৪২৩ ভোট। প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে দুটি কেন্দ্রে। নির্বাচন কমিশনের দেয়ার ভোটের তথ্যে এমনই চিত্র মিলেছে। এসব কেন্দ্রের ভোটের হিসাবই নির্বাচনে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বলে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন।
আগ্রাবাদের তালেবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৬২ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৩৩টি। ভোট গ্রহণের হার ৯৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ছয়টি বুথ। সে হিসেবে গড়ে দেড় মিনিটের কম সময়ে একটি ভোট পড়েছে। বৈধ ভোটের ২ হাজার ১৮৯ ভোট  পেয়েছেন হাতি আ জ ম নাছির। কমলালেবু প্রতীকের মনজুর আলম পেয়েছেন ৮৩ ভোট। ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৫৩ শতাংশ। বেশি ভোট পড়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক কম ভোট পড়েছে কয়েকটি কেন্দ্রে।  ১৯টি কেন্দ্রে ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এর মধ্যে নৌ-বাহিনী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা শতাংশের হিসাবে সবচেয়ে কম। এখানে মোট ভোটার ৩ হাজার ৯০৫ জন। ভোট পড়ে মাত্র ৩৩৯টি। এ ছাড়া দক্ষিণ হালিশহর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট পড়ার হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬৪২ ভোটের মধ্যে পড়েছে ৩৯২ ভোট। দক্ষিণ কাট্টলি প্রাণহরি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে ১ হাজার ৮৬২টি। বাতিল  ভোট ২ হাজার ৪৬০টি। এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ৪ হাজার ৪২২। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটের এই অস্বাভাবিক চিত্র ভোটের পুরো ফলকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

No comments

Powered by Blogger.