ক্লাসে ৭০% উপস্থিতিতেই পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ

পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস না করলেও কেবল ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিত থাকলেই হবে। শিক্ষার্থীদের এমন সুযোগে দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীর নির্বাচনী পরীক্ষায় কোন বিষয়ে ফেল করলে দায়ভার যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের ওপর। গতকাল শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ আদেশ জারি করা হয়। পরিপত্রে বলা হয়, কোন কোন বিদ্যালয় শতভাগ পাস কিংবা ভাল ফলাফল দেখাতে নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয় না। এ ছাড়া অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অযাচিত ঘটনার কারণেও অনেক শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে না পারায় পাবলিক পরীক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিত হয়, যা কাম্য নয়। এ জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু ক্লাসে নিয়মিতভাবে ৭০% উপস্থিতি থাকে, এমন শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত। এ ছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে খারাপ ফল করলে তা বিশ্লেষণ করা হবে। এক বছর যে শিক্ষক ওই বিষয় পড়িয়েছেন, এ জন্য তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে মন্ত্রণালয়। খারাপ করার দায়ভার শিক্ষককেই নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপ সচিব গৌতম কুমার বলেন, তাই এখন থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনু্‌ত্তীর্ণ কিন্তু ক্লাসে ৭০% উপস্থিতি এমন শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিশ্চিত করতেই এ ধরনের নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এ নির্দেশ দেশের সকল উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা প্রধানকে পরিপত্রের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি, এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিপত্রে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের এক মাসের মধ্যে সভা করে শিক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিষয়ের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পুরস্কার বা তিরস্কারের ব্যবস্থা নেবেন। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিষয়ের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাপ্ত তথ্য সমন্বিত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাবেন।

No comments

Powered by Blogger.