নাটোরে আ'লীগের গুলিতে ছাত্রদলের ২ নেতা নিহত

নাটোরের তেবাড়িয়া হাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর গুলিতে দুই ছাত্রদল নেতা রাকিব হোসেন ও রায়হান আলী নিহত ও ১৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।  আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের লাশ নাটোর আধূনিক সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। এদিকে দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নাটোর জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ২০ দলীয় জোট। নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক বলেন, তিনি ঘটনা শুনামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। বিস্তারিত না জেনে তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক বলেছেন, সকাল ১১টার দিকে ২০ দলীয় জোটের জনসমাবেশে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে রওনা হওয়ার প্রস্তুতির সময় পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এতে দুই ছাত্রদল নেতা রাকিব হোসেন ও রায়হান আলী মারাত্মকভাবে আহত এবং আরো ১৫ থেকে ২০ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন।
তাদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে আহত রাকিব হোসেন ও রায়হান আলীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাকিব হোসেন তেবাড়িয়া উত্তরপাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে ও একই এলকার ছেলে রায়হান আলী।
এই হত্যার ঘটনার পর পরই জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। দুই নেতার হত্যার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট মঙ্গলবার নাটোরে সকাল-সন্ধ্যা হরতার আহাবান করেছে।
নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিনা ভোটে অর্নিবাচিত নাটার সদরের একজন সংসদ সদস্য যিনি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন ছাত্রদল নেতা সুজনকে হত্যা করে হাত রঞ্জিত করেন আবার বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বর্ষপূতির দিন দুইজন ছাত্রদল নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হলো। নাটোরের জনগণ এই তিনটি হত্যারই বিচার দাবি করে।
অপরদিকে কানাইখালী এলাকায় গণতন্ত্র মুক্ত দিবসের বক্তব্যে সদরের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেছেন, তেবাড়িয়ায় বিএনপির নিজেদের কোন্দলে দু’জনকে হত্যা করে এখন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

No comments

Powered by Blogger.