মার্চের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি- বিএনপির দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চাই: এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের টার্গেট ১৫১ আসন। মানুষ দুই দলের কাছ থেকে মুক্তি পেতে চায়। আমরা আগামী নির্বাচনে আমরা ভালো করতে চাই। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি রংপুরের বাসভবন পল্লীনিবাসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন। এরশাদ বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, মানুষও ভালো নেই। সন্ত্রাস দুর্নীতি ও দলীয় করণে দেশ ছেয়ে গেছে। এর বিপরীতে জনগনের কাছে প্রয়োজন জাতীয় পার্টি।  আামরা দলকে সংঘটিত করবো। আমরা রংপুরে মিলে মিশে সবাইকে নিয়ে দলকে সংগঠিত করতে চাই। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। তিনি বলেন, বিএনপির কোন জোড়ালো আন্দোলন নেই। তারা কথা বলে বলে সময় ক্ষেপন করছে মাত্র। বিএনপির ওপর মানুষের আস্থা নেই। বিএনপি আন্দোলন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে তারা নিজেরাই সময়ক্ষেপণ করছে। বিএনপির এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দলে রূপান্তরিত করতে চাই।

এসময় জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মহানগর আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা সদস্য সচিব সাবেক এমপি এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, মহানগর সদস্য সচিব এসএম ইয়াসিরসহ এরশাদ অনুমোদিত কমিটির বিপুল পরিমান নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি বিমানযোগে ঢাকা আসলে তাকে আহবায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পথিমধ্যে তিনি তারাগঞ্জ ও পাগলাপীরে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
মোস্তফা ইয়াসিরকে বাদ না দিলে পদত্যাগ
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১ টায় এলজিআরইডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা সমর্থিত সাবেক জেলা ও মহানগর কমিটি জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিলুপ্ত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কাদেরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি শামীম সিদ্দিকী, জাতীয় যুব সংহতির ইউসুফ আহমেদ, শ্রমিক পার্টির সেক্রেটারী রাজু আহমেদ প্রমুখ।
এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রংপুরে জাতীয় পার্টিতে স্যারের নেতৃত্ব এবং তার পারিবারিক নেতৃত্বকে মেনে নেবো। কিন্তু যারা অতীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমুল জাতীয় পার্টি গঠন করেছিল তাদেরকে আমরা মেনে নেবো না। বিশেণ করে  মোস্তফা ও ইয়াসিরের নেতৃত্বকে আমরা মানবো না। তাদেরকে রাখা হলে আমরা স্যারের কাছে আমাদেরকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। স্যার যদি না দেন তবে আমরা পদত্যাগ করবো।
প্রসঙ্গত: গত ১০ সেপ্টেম্বর এলজিআরইডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে প্রেসিডিয়াম পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতিও ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন ধরনের  অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছে রংপুরে।

No comments

Powered by Blogger.