নাম তার যুবরাজ, দাম সাত কোটি রুপি!

লম্বায় ১৪ ফুট। ওজন এক হাজার ৪০০ কেজি। অতিকায় এই মহিষটির নাম যুবরাজ। বিশাল বপুর এই ষাঁড় মহিষটির দাম উঠেছে সাত কোটি ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ২৮ টাকা। তবে যুবরাজের মালিক এখনই তাকে বেচতে নারাজ।

আজ শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়, গতকাল শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মিরাট শহরে গবাদিপশু প্রদর্শনী (অল ইন্ডিয়া ক্যাটেল শো) অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের ১০ বিচারকের রায়ে যুবরাজ প্রদর্শনীর অন্য সব গবাদিপশুকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়েছে।
যুবরাজকে নিজের ছেলের মতোই লালন-পালন করেন এর মালিক করমভীর সিং। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর যুবরাজের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ রুপি আয় হয়। জীবনে সবকিছু টাকার উদ্দেশ্যে নয়।’
করমভীর জানান, দৈনিক ২০ লিটার দুধ পান করে যুবরাজ। পাশাপাশি পাঁচ কেজি আপেল ও উন্নতমানের পশুখাদ্য খায়। দিনে চার কিলোমিটার পথ হাঁটে সে। যুবরাজের পেছনে তাঁর মাসে ২৫ হাজার রুপির মতো ব্যয় হয়। তিনি বলেন, ‘চন্ডিগড়ের এক কৃষক যুবরাজকে কিনতে সাত কোটি রুপি দাম হেঁকেছিল। কিন্তু আমি যুবরাজকে এখন বিক্রি করতে প্রস্তুত নই।’
ভারতের সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী রবিন্দর সাংভান জানান, মুর্রাহ প্রজাতির এই মহিষটি উচ্চ উৎপাদনের জন্য বিশ্বখ্যাত। এর উৎস মূলত হরিয়ানা রাজ্যের রোহটাক ও জিন্দ জেলায়। তবে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলেও এ জাতের মহিষের দেখা মেলে। তিনি বলেন, যুবরাজের শরীর থেকে প্রতিদিন ৩.৫ থেকে ৫ মিলিলিটার পর্যন্ত শুক্রবীজ সংগ্রহ করা হয়। পানি মিশিয়ে এই পরিমাণকে ৩৫ মিলিলিটার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
একটি মাদি মহিষের কৃত্রিম প্রজননের জন্য মাত্র ০.২৫ মিলিলিটার শুক্রবীজের দরকার হয়। যুবরাজের শুক্রাণু দিয়ে একটি মহিষের কৃত্রিম প্রজননের জন্য নেওয়া হয় দেড় হাজার রুপি। সে হিসাবে যুবরাজের মালিক সহজেই মাসে ২ লাখ ১০ হাজার রুপি আয় করতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.