পাকিস্তানে ৪ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস

পাকিস্তানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা চলছে। দেশটির ইতিহাসে এত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি আর হয়নি। মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েকশ’ নিহত ও অন্তত ৪ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এবারের বন্যা পাকিস্তান ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্যোগ।’ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে শাহবাজ সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দুর্গতদের সাহায্য করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি প্রাণ রক্ষা করতে।’ এর আগে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল ২০১০ সালে।
সেসময় দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে প্রলয়ংকরী বন্যায় প্রায় ২২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। পানিতে ডুবে ও বাড়ির ছাদ ও দেয়াল ধসে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার পাকিস্তানের ইংরেজি পত্রিকা ডনের অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরে গত সপ্তাহে বন্যা শুরু হয়। এতে পাঞ্জাবে ১৫০, কাশ্মীরে ৬৪ ও উত্তরাঞ্চলে ১০ জন মারা গেছে। বন্যায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাশ্মীরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
ভারতের ‘পানি সন্ত্রাসের’
কারণে পাকিস্তানে বন্যা
ভারতের বিরুদ্ধে ‘পানি সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তানের জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ মহাম্মদ সাঈদ। মঙ্গলবার পাকিস্তানশাষিত কাশ্মীরের বন্যাদুর্গতের এলাকা পরিদর্শনের পর এই বিপর্যয়ের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছেন হাফিজ। তার দাবি, ভারত হঠাৎ করেই পানি ছাড়ায় এই বন্যা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের লাদাখ বাঁধ প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে ইসলামাবাদ বিপদে পড়বে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, হাফিজ ভারতের বিরুদ্ধে পানি সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছেন। তার বক্তব্য, ‘পানি সন্ত্রাস’ নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষ বিরতির থেকে অনেক বড় বিপদ।

No comments

Powered by Blogger.