খ্রিষ্টপূর্ব যুগের মন্দির কি টিকে থাকবে?

ইরাকের হাত্রা মন্দির
১৯৭৩ সালে নির্মিত হরর চলচ্চিত্র দ্য এক্সরসিস্ট-এর প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয় প্রাক-খ্রিষ্টান যুগের একটি ভুতুড়ে মন্দির৷ ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সেই মন্দির সম্প্রতি জঙ্গিরা দখল করে নিয়েছে৷ খবর ইনডিপেনডেন্টের৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হাত্রা উপাসনালয় ভবন। দুই সপ্তাহ আগে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের (আইএসআইএল) জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই শুরু হলে হাত্রার পাহারায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যান৷ সুন্নি জঙ্গিরা এখন ওই মন্দিরসহ গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিকে, শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা মুকতাদা আল-সদর ওই জঙ্গিদের পায়ের নিচের ‘মাটি কাঁপিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন৷ পবিত্র শহর নাজাফ থেকে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন বক্তব্যে তিনি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, অজ্ঞতা ও চরমপন্থার পায়ের নিচের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া হবে৷ খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে নির্মিত হাত্রার মন্দিরটির ভেতরে রয়েছে পাথরের তৈরি বেশ কিছু মূর্তি৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, সূর্যদেবতা শামাস ও অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তি ও দেয়ালে স্থাপিত মুখোশগুলো গুঁড়িয়ে দেবে আইএসআইএলের জঙ্গিরা৷ হাত্রার ৬৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মসুল শহরটি দুই সপ্তাহ আগে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়৷ এরপর সেখানে অবস্থানকারী জঙ্গিদের লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়৷ স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ খোজাল বলেন, এখন মন্দিরটি রক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই৷ এটি বিদ্রোহীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে৷ তাছাড়া সরকারি বাহিনীর বোমাবর্ষণের ব্যাপারটিও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ জঙ্গিরা ইরাকের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটিগুলোর একটিতে আক্রমণ করেছে এবং বেশ কয়েকটি ছোটখাটো তেলক্ষেত্র গত বুধবার দখল করে নিয়েছে৷ দেশটিতে বিদ্রোহ দমনে সরকারকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সামরিক উপদেষ্টাদের একটি দল ইতিমধ্যে বাগদাদে পৌঁছেছে৷

No comments

Powered by Blogger.