বেচাবিক্রিতে শীর্ষে হিটলারের by মেইন ক্যাম্ফ

অনলাইনে ই-বইয়ের বেচাবিক্রিতে অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করেছে অ্যাডল্ফ হিটলারের রাজনৈতিক আÍজীবনী ‘মেইন ক্যাম্ফ’ বা ‘আমার সংগ্রাম’। সম্প্রতি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় এ প্রবণতা দেখা গেছে। বিশেষত কানাডায় দীর্ঘ সময় ধরে বেচাবিক্রিতে ওপরের দিকে রয়েছে দ্বিতীয় জার্মান এ নেতার বইটি। এমন পরিস্থিতিতে এ বইটি বেচে মুনাফা কামানোর লোভ সামলাতে প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ইয়াহুদি নেতারা। তারা এ বইটিকে ইয়াহুদিদের প্রতি ঘৃণা প্রচারকারী প্রপাগান্ডা হিসেবে দেখেন। এবিসি নিউজের এক খবরে দেখা যায়, মেইন ক্যাম্ফের দুটি ভিন্ন সংস্করণ আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের আই-টিউনস অনলাইন স্টোরে রাজনীতি ও সমসাময়িক ঘটনাবলি বিভাগে ১২ ও ১৫তম স্থান দখল করে আছে। টরেন্টো স্টার জানিয়েছে, একই বিভাগে কানাডায় আই-টিউনসে গত বধুবারের সর্বশীর্ষ বই ছিল এটি। হাফিংটন পোস্ট কানাডা জানায়, দেশটিতে আই-টিউনসে গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজনীতি ও সমসাময়িক ঘটনাবলি বিভাগে সর্বোচ্চ বিক্রিত তিনটি বই ছিল মেইন ক্যাম্ফের তিনটি ভিন্ন সংস্করণ, আর সব বিভাগের বইয়ের মধ্যে এর অবস্থান ছিল ৬৪তম।
শুধুই আই-টিউনসেই বইটি বিক্রি হচ্ছে এমনও নয়। মেইন ক্যাম্ফের জনপ্রিয়তায় এমন বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি প্রথম যিনি খবরে তুলে আনেন, সেই সাংবাদিক ক্রিস ফ্যারোন এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, আমাজন ডটকমেও সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে জার্মান জাতীয় সমাজতন্ত্রী নেতা হিটলারের আÍজীবনীটি।
এ ব্যাপারে বিশ্ব ইয়াহুদি কংগ্রেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট সিঙ্গার এবিসি নিউজকে বলেন, ‘বইটির অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা অবশ্যই বৈধ। কিন্তু অনলাইনে এভাবে হরেদরে বইটি কিনছে মূলত নয়া-নাজিরা, যারা ইতিহাসের এ দানবটিকে নায়কজ্ঞানে তার এ বইটি পড়ছে।’ জনাব রবার্ট বলেন, নামিদামি কোম্পানিগুলোর উচিত এ ঘৃণাপ্রচারমূলক বইটি বেচে মুনাফা কামানোর চিন্তা বাদ দেয়া। আর যদি বেচতেই হয়, তবে এর লাভের টাকা দিয়ে ইয়াহুদি-ঘৃণা বা এমন অন্য কোনো ঘৃণা সমাজ থেকে দূর করার কাজে ব্যয় করা উচিত।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এলিট মাইন্ডস গতবছর মেইন ক্যাম্ফের একটি সংস্করণ অনলাইনে ছাড়ে মাত্র ৯৯ সেন্ট দামে। ক্রিস ফ্যারনের মতে, তারপরই অনলাইনে বইটির বিক্রি বাড়তে শুরু করে হু হু করে। এ ব্যাপারে এলিট মাইন্ডসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোর্ড বলেন, মূলত একাডেমিক দরকারেই এ বইটির বিক্রি বাড়ছে।

No comments

Powered by Blogger.