সুনন্দার শরীরে আঘাতের চিহ্ন

সুনন্দা পুশকার
ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুশকারের মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার ময়নাতদন্তের পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এ তথ্য জানান। আর অসুস্থ বোধ করায় গতকাল শশীকে হাসপাতালে ভর্তি করার দুই ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সুনন্দার মৃত্যু-রহস্য কংগ্রেসকে আরও সমস্যায় ফেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও কংগ্রেস এই মৃত্যু নিয়ে নীরব।
শেষ পর্যন্ত এই মৃত্যু শশী থারুরকে কোন অবস্থায় নিয়ে যাবে, সে বিষয়ে কেউই এই মুহূর্তে নিশ্চিত নয়। শুক্রবার রাতে রাজধানী দিল্লির চাণক্যপুরীর হোটেল লীলার একটি ঘরে সুনন্দার মৃতদেহ পাওয়া যায়। গতকাল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর চিকিৎসক সুধীর গুপ্তা জানান, সুনন্দার শরীরে ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান চলছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে হচ্ছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটেনি। সুনন্দার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে এআইআইএমএসে। শশী থারুর অসুস্থ বোধ করায় শনিবার সকালে তাঁকে এআইআইএমএসে ভর্তি করা হয়। তাঁর বুক ধড়ফড় করছিল। ঘণ্টা দুয়েক পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরে হাসপাতাল থেকে সুনন্দার মৃতদেহও লোদি রোডের সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় শেষকৃত্য হয়। দিল্লি পুলিশ শুক্রবার রাতেই শশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
শনিবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, সুনন্দার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা দেখা। দ্বিতীয়ত, সুনন্দা আত্মহত্যা করলে তাতে কারও প্ররোচনা আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া। শশী থারুরের (৫৭) সঙ্গে ২০১০ সালে সুনন্দার বিয়ে হয়। শশীর জীবনে এটি তৃতীয় বিয়ে, সুনন্দার দ্বিতীয়। সম্প্রতি পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারারের সঙ্গে শশীর সম্পর্ক প্রকাশ্যে চলে এলে সুনন্দা-শশী-মেহরের মধ্যে ঝগড়ার কথা জানাজানি হয়ে যায়।

No comments

Powered by Blogger.