দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সার্বিক গুরুত্বারোপ করেছে। তাই অতীতে যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো।
সরকার এরইমধ্যে জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের দমন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকার মামলার বিচার নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মৌখিক উত্তরদান পর্বে সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতার, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মোবাইল ও সাইবার ক্রাইম দমনসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও কতিপয় অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এরইমধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ইভটিজিং রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিচারের জন্য সরকার মোবাইল কোর্ট আইনে দা:বি: ৫০৯ ধারা সংযোজন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি এ পর্যন্ত ১৪টি সভা করে জঙ্গিবাদ দমনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার কারণে এ পর্যন্ত ৫টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রচেষ্টা দমনে কার্যকর সন্ত্রাস দমন (সংশোধনী ) আইন-২০১২ জারি করেছে।

তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এরইমধ্যে ২৯টি থানা ও ৪৭টি নতুন তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার অংশ হিসেবে বিভিন্ন অপারেশনাল ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোতে সংস্কার করাসহ নতুন নতুন ইউনিট, যেমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য টুরিজম পুলিশ, নারী আর্মড ব্যাটালিয়ান গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি থানায় ওসি (তদন্ত) পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর বাইরে পুলিশ পরিদর্শকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণী হতে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত এবং এসআই’র পদকে ৩য় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। সিআইডিতে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ দুটি ক্রাইম সিন ভ্যান প্রদান করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীতে ৩২ হাজার ৩১ টি জনবলের পদ সৃজনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৮ হাজার ৬৩২টি পদ সৃজনের মঞ্জুরি প্রদান করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.