উত্তরাধিকারের রাজনীতিতে কার জয়, কার পরাজয়? by বদিউর রহমান

দেশের রাজনীতি হালে বেশ সরগরম। গত কয়েক মাসে এ সরগরমতা এত বেড়েছে যে, আগে আমজনতাভুক্ত যেসব লোক রাজনীতি নিয়ে বলতে গেলে মাথাই ঘামাত না, এখন দেখা যাচ্ছে তাদেরও অনেকে একটু-আধটু কথা বলা শুরু করেছেন। কিছুটা আড্ডা আসরে তর্ক-বিতর্কে যোগ দিচ্ছেন, এমনকি একটু বোঝেন-ভাবেন এমন লোকদের কিছু প্রশ্নও করছেন। এ লক্ষণটা একদিকে যেমন ভালো, অপরদিকে তেমনি খারাপও বলা চলে। ভালোটা এজন্য, এতে দেশবাসী যে আরও রাজনীতি সচেতন হচ্ছেন তা আঁচ করা যায়। এর ইতিবাচক দিক নিয়ে আশাবাদী হওয়া যেতে পারে, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনে এটা ভূমিকা রাখতে পারে মর্মে ধারণাও করা যেতে পারে। খারাপ দিকটা এভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে যে, রাজনীতিতে সবাই নাক গলাতে গেলে রাজনীতি তো আর রাজনীতি থাকতে পারে না, অন্য পেশাদারীরা তখন নিজেদের পেশাদারিত্ব থেকে বিচ্যুৎ হয়ে গিয়ে ওই পেশার ক্ষতি সাধন করে ফেলতে পারেন এবং এতে সামগ্রিকভাবে রাজনীতিসহ সব পেশার মধ্যে একটা জগাখিচুড়ি ভাব এসে যেতে পার মর্মে আশংকাও থাকে। এ আশংকার বাহ্যিক প্রকাশ ইতিমধ্যে যে এ দেশে ঘটে গিয়েছে তা তো আর অস্বীকার করা যাবে না। এখন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, সামরিক-বেসামরিক অবসরপ্রাপ্তরা অনেকে মহাধুমধামে রাজনীতিক বনে গেছেন। আগে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিককে আর্থিক সহায়তা দিতেন, বিনিময়ে হয়তো কিছুটা ব্যবসায়িক ফায়দা নিতেন। তবে রাজনীতিতে নাক গলাতেন না। কিন্তু এখন তারা ভাবেন, ওই সহায়তার অর্থ দিয়ে নিজেই মানোনয়ন কিনে রাজনীতিক হয়ে যাওয়া উত্তম। হচ্ছেনও তাই। সংসদে তাদেরই প্রাধান্য বলা চলে। ঘটে পদার্থ না থাকুক, তাতে কী, ভোট তো একটা আছে। হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে-তে অবদান তো রাখা যায়, নাকি? অতএব আমজনতাও যদি রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামান, তবে তাতে দোষের কী আছে?
তবে প্রশ্ন হল, আমজনতা রাজনীতি নিয়ে মাথা কি সাধে ঘামাচ্ছেন? নিশ্চয়ই নয়। তারা রাজনীতিকদের অশোভন এবং অযাচিত-অপ্রত্যাশিত, ক্ষতিকর ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে দুশ্চিন্তায় পড়েই মাথা ঘামাচ্ছেন বলা চলে। বিশেষত বড় দুই রাজনৈতিক দলের অপরিণামদর্শী লাগামহীন কথাবার্তা ও আচরণে মানুষ বলা চলে ত্যক্ত-বিরক্ত। ফলে জনগণ ভীত-সন্ত্রস্ত, এক অনিশ্চিত শংকায় শংকিত, আগামী নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলাচলে। এর মধ্যে আবার তারেক-জয় ইস্যুতে নতুন ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিতে তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে জনগণের কৌতূহলের যেন কমতি নেই, বিশেষত জয়ের আগমনে। হাসিনা-খালেদা পরবর্তী প্রজন্মের এ দু’পুত্রকে নিয়ে রাজনীতি কেমন হবে, তা ভাবাচ্ছে অনেককে। এতদিন এ ভাবনা ছিল না এজন্য যে, উত্তরাধিকারের রাজনীতিতে শেখ পরিবারকে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হাসিনা পরবর্তী ভাবনায় তেমন ভাবার কোনো লক্ষণ প্রকাশ্য ছিল না। কিন্তু জয়ের আগমনে এ ভাবনা এখন চাঙ্গা হয়েছে। আগে জিয়া-খালেদা পুত্র তারেক অনেকটা একক কর্তৃত্বে ছিলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিনা-পরিবারের কেউ ছিলেন মর্মে ভাবা হয়নি, শেখ রেহানাকে নিয়ে সাময়িক ভাবনা বুদবুদের মতো মিলিয়ে গিয়েছে অনেক সময়েই। তখন এমনও ভাবা হয়েছে, বয়সের তুলনামূলক কম পার্থক্যে এবং উত্তরাধিকারের একক মানদণ্ডে হাসিনা অবসরে যেতে যেতে রেহানারও সময় প্রায় শেষ হয়ে যাবে। অতএব হাসিনার পর রেহানার রাজনীতিতে সক্রিয় হাল ধরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাছাড়া হাসিনার সঙ্গে রেহানাকে বড় অনেক অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গেলেও কার্যত রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করার মতো কোনো ক্ষমতায় বা ভূমিকায় রেহানাকে এ পর্যন্ত দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে আমরা যদিও শুনতাম রেহানা শক্তিশালী ভূমিকা রাখেন এবং হাসিনাও রেহানাকে সমীহ করেন, সমঝে চলেন; কিন্তু কার্যত রাজনীতিতে প্রকাশ্য কর্তৃত্বে আসতে হলে যেভাবে পদ-পদবিতে ভূমিকা রাখতে হয়, তেমন অবস্থায় রেহানাকে এ পর্যন্ত আমরা দেখিনি। এর পেছনে দুটি কারণ মুখ্য বিবেচিত হতে পারে। এক, হয়তো শেখ রেহানা নিজেই সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হতে আগ্রহী হননি কিংবা পিতার উত্তরাধিকারের রাজনীতিতে লড়াই সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে (আলী) দুর্বল করতে চাননি, যাতে করে পারিবারিক রাজনীতির উত্তরাধিকারী কর্তৃত্ব অটুট থাকে। দুই, শেখ হাসিনা হয়তো সময়-সুযোগে নিজ পুত্র জয়কে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব আলীবর্দী খাঁর দোহিত্র নবাব সিরাজউদ্দৌলা করার কৌশলে এমনভাবে এগিয়ে গেছেন যে, রেহানা বিষয়টি টেরও পাননি। এমন ধারণা দু’বোনের মধ্যে উস্কানিমূলক মনে হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ কিংবা অন্য কয়েক দেশের বা মোগল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারের রাজনীতির ইতিহাস বিবেচনায় নিলে তা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। পরিবারতন্ত্রের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে কূটকৌশলের কিন্তু শেষ নেই। যে টিকে থাকতে পারে সেই সফল এবং ওই টিকে থাকাই যোগ্যতা। পিতাকে বন্দি করে পুত্রের সিংহাসন দখলের যেমন নজির আছে, তেমনি সুযোগ পেলে মামাকে হটিয়ে দিয়ে ‘ভাগিনা’ যে ‘রাজা’ হতেন না, তা কেউ দিব্যি দিয়ে বলতে পারবেন? তবে আমরা সন্তুষ্ট যে, রেহানাকে নিয়ে কেউ এখনও আলীতে ভাঙন ধরাতে পারেননি। রেহানাও অন্তত ‘মানেকা গান্ধী’ হননি। আমরা এ পরিবারের এমন ঐক্য সব সময় আশা করি, এমনকি ভবিষ্যতেও এ দেশে হাসিনার ছেলে কিংবা রেহানার মেয়ের রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চাই না।
আমাদের দেশে এখন দুটি দলই রাজনৈতিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। আলী বয়সে আমারও বড়, অনেক ঐতিহ্য নিয়ে তৃণমূল পর্যায়েও সুসংগঠিত। ভাসানী থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু হয়ে এ দল এক বিরাট মহীরুহ বটে। বঙ্গবন্ধুর একক ব্যক্তিত্ব-নেতৃত্ব এবং দেশ স্বাধীন করার বড় কৃতিত্ব এ দলকে এক মহামর্যাদার আসনে তুলে এনেছে। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী লুটপাট আর অন্তঃকোন্দল এ দলকে রাজনৈতিকভাবে অন্ধ গহ্বরে ঠেলে দেয়। তারপরও একুশ বছর পর হাসিনা আবার দলকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হন। এক-এগারোর সংস্কারপন্থী অন্তঃকোন্দলেরও সামাল দেন তিনি। তবে গত মেয়াদে আলী সরকারকে গডফাদার বদনাম সইতে হয়েছে। আর এ মেয়াদে ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজি, হানাহানি-খুনাখুনি, পদ্মা-ব্যর্থতা, শেয়ারবাজার-ডেসটিনি-হলমার্ক-যুবক-লিমন-বিশ্বজিৎ-কালো বিড়াল ইত্যাদি হরেক কেলেংকারিতে সরকার ভাবমূর্তি হারিয়েছে চরমভাবে। বড় বড় অর্জনও জনগণ যেন আর বিবেচনায় নিচ্ছে না। এমন অবস্থায় বিলবোর্ড-প্রচার আর জয়ের আবির্ভাব রাজনীতিতে আলীর নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশল কি-না তা ভাবার বিষয় বটে। বিলবোর্ড-দখলি প্রচার মানুষ হয়তো খাবে না। অনেকে ঠাট্টা করে নানা কথা বলছে। কিন্তু ‘দুই-দেশী’ জয় আর তার এক বিদেশিনী স্ত্রীকে নিয়ে রাজনীতিতে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। হাসিনার সাড়ে চার বছর পর স্বামীর বাড়িতে যাওয়া আর সঙ্গে ‘দুই-দেশী’ ছেলে ও বিদেশী পুত্রবধূকে নিয়ে জয়ের পীরগঞ্জ ‘দখল’ আলীকে কতটুকু চাঙা করবে তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে, বিশেষত তারেকের বিপরীতে। আমেরিকাবাসী হয়ে বিদেশিনী স্ত্রী নিয়ে ‘আসিম আবার’ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ের পরীক্ষায়ই দেখতে হবে, নির্বাচনের আগের সাময়িক আবেগে নয়। সজীব ওয়াজেদ জয় শেখ হাসিনার পুত্র হলেও উত্তরাধিকার সূত্রে ড. ওয়াজেদের মনমেজাজই বেশি ধারণ করেন মর্মে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। হাসিনার গত মেয়াদের শপথের পরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ড. ওয়াজেদ যেমন একটু সাহায্য করেছিলেন সঙ্গে বা পেছনে থেকে, জয়কেও মাকে তেমন সাহায্য করছেন মর্মেই ভাবা হয়েছে এ পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র হিসেবে গতবার জয়কে আলীর সদস্যপদ দেয়ার দলীয় ‘চাটুকারিতা’ রাজনীতি সচেতন জনগণ হয়তো ‘হজম’ করেছেন। কিন্তু এবার তার মঞ্চে ‘অভিষেক’কে আর খাটো করে দেখছেন না কেউ। তাহলে কি হাসিনা জয়কে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন? যতি তাই হয়, তবে দুটি বিবেচনা এখানে মুখ্য হবে। এক. হাসিনা কি ভাবছেন যে, এ দেশ বঙ্গবন্ধুর বিধায় তার পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারিত্ব তাদের ‘হক’? তিনি কি এমনও ভাবছেন যে, কোথাকার কোন এক সময়ের বরপুত্র জিয়ার ছেলে তারেক রাজনৈতিক উত্তরাধিরাকিত্ব ‘প্রায়’ প্রতিষ্ঠিত করেই ফেলেছেন, এখন তার (হাসিনার) কেউ এ ক্ষেত্রে না এলে বঙ্গবন্ধু পরিবার হারিয়ে যাবে? নচেৎ আলীর এ খারাপ সময়ে জয়কে টেনে আনা কেন? কেন এ সরকারের প্রথম থেকেই তাকে রাজনীতিতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দেয়া হল না, যেমনটি খালেদা জিয়া তারেককে করে নিয়েছেন? তারেকের মনমেজাজে রাজনীতি যেভাবে প্রায় সুপ্রতিষ্ঠিত, জয় সে বিবেচনায় অনেক পিছিয়ে। তার ভূমিকা উত্তরাধিকারের বিবেচনায় পাইলট রাজীব গান্ধীর মতো কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টোর মতো হতে পারে, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী বা বেনজির ভুট্টোর মতো বোধহয় হবে না। অপরদিকে তারেক কিন্তু মনমেজাজে জয়ের মতো বিজ্ঞানমনস্ক নন। জয়ের মধ্যে পিতৃগুণ বিজ্ঞানমনস্কতা যেমন প্রবল, তারেকের তেমনি রাজনীতিমনস্কতা প্রবল। এ ক্ষেত্রে জয়ের প্রতিষ্ঠায় আরও অনেক সময় লাগবে, যে ধাপ তারেক বেশ আগেই পার করে ফেলেছেন বা তাকে দিয়ে পার করিয়ে ফেলা হয়েছে। জয়ের দ্বৈত-নাগরিকত্ব, বিদেশে জীবন কাটানো, বিদেশিনী বিয়ে করাও এ দেশের রাজনীতিতে সফলতার বিপক্ষে একটা ‘ফ্যাক্টর’ হবে হয়তো। এ দেশের রাজনীতিতে গুণ্ডাপাণ্ডা হলেও দেশীয় ভিত্তি বেশ কাজ দেয়। অনেক গুণ্ডাপাণ্ডাই তো নেতা এবং সংসদ্য সদস্যও হয়েছেন। কেউ কেউ সংসদ ভবনের দক্ষিণ-প্লাজায় জানাজাও পেয়েছেন। কেউ আবার নিজ নিজ এলাকার মুকুটহীন সম্রাটও হয়েছেন। কিন্তু ভালো, শিক্ষিত, মার্জিত অনেক সজ্জন ব্যক্তি রাজনীতিতে পাত্তাও পাননি। এমনকি এ দেশের দলীয়-মাস্তানির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অদূর ভবিষ্যতেও ভালো কিছু আশা করা যায় না।
দুই. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বাজাদ) তারেককে খালেদার উত্তরাধিকারী হিসেবে এরই মধ্যে মেনে নিয়েছে বলা চলে। এ দলের তিন নেতার ছবির মধ্যে জিয়া আর খালেদার পরই রয়েছে তারেকের ছবি। জিয়া-খালেদার জাঁদরেল মন্ত্রী-উপদেষ্টারা অকাতরে তারেক বন্দনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মওদুদ, মোশাররফ, ফখরুল, আনোয়ার, খোকা, আব্বাস, হান্নানসহ যেদিকে যাকেই দেখুন না কেন, তারেক তাদের নমস্য। দলীয় গণতন্ত্রে খালেদার ইশারায় তারা সব কুপোকাত, অতএব তারেকই তাদের নেতা, যতই পিচ্চি-ছোকড়া-বাচ্চা বলা হোক না কেন। তারেক তরুণদের মধ্যে ভাবমূর্তিও সৃষ্টি করেছেন। তার সাংগঠনিক শক্তিও স্বীকৃত, হাওয়া ভবনের ক্ষমতা অনস্বীকার্য, তার অপকর্ম এখনও অসুপ্রতিষ্ঠিত। বিপরীতে জয়কে কি হাসিনা তিন নেতার ছবির একটি সহজেই ও সহসা করতে পারবেন? আলীর প্রবীণ নেতাদের কি বাজাদের মতো ‘জো হুকুম ম্যাডাম’ করে নিতে পারবেন? হয়তো পারবেন। কিন্তু তা নির্ভর করবে আগামী মেয়াদে হাসিনার ক্ষমতার ওপর। তিনি ‘লৌহমানবী’ হওয়ার চেষ্টা কম করছেন না। কিন্তু বিজ্ঞানমনস্ক জয়কে দিয়ে তারেককে টেক্কা দেয়াতে পারবেন কি-না- এটা বড় ভাবার বিষয়। তারেক পিতা-মাতা দুজনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী, মায়ের সঙ্গে সরাসরি ক্ষমতার আড়ালে থেকে বড় ক্ষমতাশালী। জয় কিন্তু এর কোনোটিতেই নেই। নানার পরিচয়টা বড় করে আছে বটে, কিন্তু মায়ের সঙ্গে এ দেশীয় রাজনীতিতে এখনও অনেক পিছিয়ে। উত্তরাধিকারের স্বৈরাচারী-গণতান্ত্রিক লেবাসের এ রাজনীতিতে তারেক-জয়ের মধ্যে কার জয় আর কার পরাজয় হবে, তা দেখতে আমাদের আরও অন্তত কমপক্ষে দু’মেয়াদের নির্বাচন দেখতে হবে। আমরা অপেক্ষা করব।
বদিউর রহমান : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

No comments

Powered by Blogger.