নির্বাচনী তহবিল আত্মসাৎ করায় জেসি জ্যাকসনের কারাদণ্ড

জেসি জ্যাকসন
মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের উদীয়মান এক আইনপ্রণেতা। তাঁকে মনে করা হতো অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র। কয়েকবার কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই জেসি জ্যাকসন জুনিয়রকে আদালত গত বুধবার দুর্নীতির জন্য দণ্ডিত করেছেন। নির্বাচনী তহবিলের অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য জ্যাকসন জুনিয়রের বিরুদ্ধে ৩০ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী স্যান্ডি জ্যাকসনকে দেওয়া হয়েছে ১২ মাসের কারাদণ্ড। দণ্ডিত হয়ে পতিত এই আইনপ্রণেতা শিশুর মতো কেঁদেছেন। আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক জীবন আর ব্যক্তিজীবনকে আমি পৃথক করতে পারিনি।...এর চেয়ে মারাত্মক ভুল আর কী হতে পারে?’
প্রখ্যাত মানবাধিকার নেতা রেভারেন্ড জেসি জ্যাকসনের ছেলে জ্যাকসন জুনিয়র। শিকাগো নগরের অনগ্রসর কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান। রেভারেন্ড জ্যাকসনের পরিচিতির সুবাদে দ্রুত রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যান জ্যাকসন জুনিয়র। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে গত বছর। এর আগে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছেড়ে দেওয়া আসনে মনোনয়ন নিয়েও অনৈতিকতার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তোপের মুখে গত নভেম্বরে কংগ্রেস থেকে তাঁকে পদত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনী তহবিলের অপব্যবহার নিয়ে তদন্ত শুরু হয় জেসি জ্যাকসন জুনিয়রের বিরুদ্ধে। তদন্তে প্রমাণিত হয়, ঘরের আসবাব থেকে নিজের জন্য দামি রোলেক্স ঘড়ি কিনেছেন নির্বাচনী তহবিলের অর্থ দিয়ে। প্রায় সাড়ে সাত লাখ ডলারের নির্বাচনী তহবিল তসরুফ করেছেন। আবার রাজকীয় জীবন যাপন করলেও স্ত্রী স্যান্ডি জ্যাকসন কর ফাঁকি দিয়েছেন। আদালতের বাইরে সাংবাদিকসহ অপেক্ষমাণদের সামনে জেসি জ্যাকসন জুনিয়র নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

No comments

Powered by Blogger.