প্রাণঘাতী রোগের কারণে পদত্যাগ করেন কাস্ত্রো!

ফিদেল কাস্ত্রো
প্রাণঘাতী’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দেশের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। কেননা, তিনি তখন কল্পনাও করেননি এত দিন বেঁচে থাকবেন। আজও বেঁচে থাকায় তিনি ‘বিস্মিত’। নিজের লেখা এক নিবন্ধে এই কথা বলেছেন কিউবার বিপ্লবের স্বনামখ্যাত নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। ১৯৫৯ সালে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন ফিদেল কাস্ত্রো। সেই থেকে টানা ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের সর্বেসর্বা ছিলেন। এরপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন ছোট ভাই রাউলকে। গত মঙ্গলবার ছিল ফিদেলের ৮৭তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে গত বুধবার কিউবার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্রানমা য় তাঁর দীর্ঘ ওই নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে ফিদেল জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে তাঁর গুরুতর পেটের পীড়া ধরা পড়ে। সে অসুস্থতা এতটাই মারাত্মক ছিল যে তিনি তখন ভাবতে পারেননি বেশি দিন বেঁচে থাকবেন। ফিদেল কাস্ত্রো লিখেছেন, ‘আমি তখন এটা কল্পনাও করতে পারিনি যে আরও সাত বছর বেঁচে থাকব।’
নিবন্ধে ফিদেল বলেন, ‘আমি যখন বুঝতে পারলাম, এটা (অসুস্থতা) চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে, তখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে কোনো প্রকার দ্বিধাবোধ করিনি।’ নিবন্ধে ফিদেল আরও জানিয়েছেন, কিউবা আশির দশকের গোড়ার দিকে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়েছিল। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটিকে রক্ষায় আর কোনো পদক্ষেপ নিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রস্তুত নয়—ইউরি আন্দ্রোপভের এমন সতর্কবাণীর পর উত্তর কোরিয়ার ওই অস্ত্রের জোগান আসে। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে কিউবার কমান্ডার-ইন-চিফ এবং প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়লেও চিকিৎসা গ্রহণের স্বার্থে মূলত ফিদেল ২০০৬ সালেই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোকে তিনি নিজের স্থলাভিষিক্ত করেন। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.