এনএসএ হাজারবার আইন লঙ্ঘন করেছে

এডওয়ার্ড স্নোডেন
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) গত দুই বছরে কয়েক হাজারবার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করেছে। শুধু তা-ই নয়, সংস্থাটি হাজারবার নিজের আইনি সীমাও লঙ্ঘন করেছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এসব নথি থেকে জানা যায়, বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করেই এনএসএ মার্কিন নাগরিকদের ওপর গোপন নজরদারি চালায়। নজরদারিবিষয়ক মার্কিন গোপন আদালত এই তৎপরতাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ এক নিরীক্ষায় দেখা যায়, ২০১২ সালের মে মাস থেকে তার আগের ১২ মাসে এনএসএ অবৈধভাবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের ঘটনা ঘটিয়েছে দুই হাজার ৭৭৬ বার। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে মোট কতজন নাগরিক অবৈধ এই নজরদারির শিকার হয়েছেন। ‘তাঁরা আমার পরিস্থিতি জানেন না’: এদিকে এডওয়ার্ড স্নোডেন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁর বাবা লন স্নোডেন এবং বাবার আইনজীবী ব্রুস ফিন এবং ফিনস অ্যাসোসিয়েটস তাঁর (স্নোডেন) আইনি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘তাঁরা কেউ আমার আইনি পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং ভবিষ্যতে এই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।’ ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, লন স্নোডেনের আইনজীবীর দল তাঁর ছেলে স্নোডেনের উপদেষ্টা উইকিলিকস ও ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ডের ওপর আস্থা রাখে না। এরপরই ওই বিবৃতি দিলেন স্নোডেন।
অ্যাসাঞ্জের অস্বীকার: গোপনীয়তাবিরোধী ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, রাশিয়ায় স্নোডেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিক নয়। গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘৫৪ দিন ধরে আমাদের একজন প্রতিনিধি সব সময় স্নোডেনের সঙ্গে আছেন। এই সময়ের মধ্যে রুশ কর্তৃপক্ষ বা রাশিয়ার কোনো গোয়েন্দা সংস্থা স্নোডেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।’ বিবিসি, সিএনএন ও এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.