বিবিসি সংলাপে কামরুলঃ দ্রুত বিচার আইনে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা

‘দ্রুত বিচার আইনে বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে’- উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, “হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের হোক কিংবা অনুপ্রবেশকারী হোক, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।”
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেন এবং আরও দুই আলোচক এ হত্যার বিচার হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আর খুনীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংলাপে অংশগ্রহণকারী অনেকেই।

বিবিসি বাংলার উপস্থাপক আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্য আলোচক ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ব্যারিস্ট্রার তুরিন আফরোজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম।

বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপে কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়াকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে স্বীকার করেন আইন প্রতিমন্ত্রী। ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় তাদের কথোপকথন সংবাদপত্রে প্রকাশ করা যায় কি-না’, এমন প্রশ্নের জবাবে ভিন্ন ভিন্ন মত দেন আলোচকরা।

খোন্দকার মাহবুব বলেন, “জনস্বার্থ বিবেচনায় এটা প্রকাশ করা যাবে। সবকিছু প্রকাশ হওয়ার আগে তা বন্ধ করে দিলে জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হবে- আসলে এর মধ্যে কী আছে।”

এ ক্ষেত্রে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কথোপকথন ফাঁস এবং পরে তার প্রকাশ করে দুটি অপরাধ করা হয়েছে।”

তুরিন আফরোজ বলেন, “জনস্বার্থে প্রয়োজন হলে সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে। তবে একটি পত্রিকায় যেটুকু প্রকাশ করা হয়েছে তাতে জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না।” তবে অপর আলোচক আবদুল লতিফ মাসুম প্রকাশের পক্ষেই মত দেন।

হরতালের বিষয়ে খোন্দকার মাহবুব বলেন, ‘সরকার ইস্যু তৈরি করে দেওয়ার কারণেই বিরোধীদল হরতাল দিতে বাধ্য হয়।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন এখনও অনেক দূরে, তাই তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে এখন হরতাল পালন নিতান্তই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা।”

No comments

Powered by Blogger.