স্টাইল আইকন মেরিলিন মনরো

মেরিলিন মনরো এক জাদুকরি বিস্ময়। একাধারে আমেরিকান অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা। আবেদনময়ী সৌন্দর্যের অধিকারী একজন শিল্পী হিসেবে তিনি পরিচিত। মনরো অসাধারণ ফ্যাশন সচেতন একজন মানুষ ছিলেন। ফ্যাশনের পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজস্ব স্টাইল। অপূর্ব রুচিবোধসম্পন্ন মনরোর মৃত্যুর ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো তিনি বিশ্বের সেরা স্টাইল আইকন হিসেবে স্বীকৃত।

মেরিলিন মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন লসঅ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। আর মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। জীবনের এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নিজেকে গ্ল্যামার জগতের রাণীর আসনে বসিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত মনরোকে টেক্কা দেয়ার মতো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাব ঘটেনি।
অল্প দিনের ক্যারিয়ারে মেরিলিন মনরো প্রায় ৩০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে নায়াগ্রা, জেন্টলম্যান প্রিফার ব্লন্ডস্, রিভার অব নো রিটার্ন, দ্য সেভেন ইয়ার ইচ, সাম লাইক ইট হট, দ্য মিসফিটস্ ইত্যাদি। 

মনরো অনেক ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার কণ্ঠে উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- এফরি বেবি নিডস্ ড্যা-ড্যা-ড্যাডি, এনিওয়ান ক্যান সি আই লাভ ইউ, ওহ!হোয়াট এ ফরোয়ার্ড ইয়াং ম্যান ইউ আর, কিস, আই ওয়ান্না বি লাভড্ বাই ইউ, আই ফাউন্ড এ ড্রিম, মাই হার্টস্ বিলংস্ টু ড্যাডি-সহ আরো অনেক গান।

মনরো ছিলেন স্বাধীনচেতা মানুষ কিছুটা খামখেয়ালিও। নিজের জীবনকে ইচ্ছামতো পরিচালিত করেছেন, কোনো বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা করেননি। বিয়ে করেছেন মোট তিনবার যথাক্রমে জেমস্ ডগারটি, জো ডিম্যাগিও এবং আর্থার মিলারকে। তিনজনের সঙ্গেই মনরোর ডিভোর্স যায়। বিয়ে নিয়ে মনরোর একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘বিয়ে আমাকে সুখ কিংবা দুঃখ কোনোটিই দেয়নি। আমার এবং আমার স্বামীর মাঝে কথা হতো না বললেই চলে। বিয়ে টেকেটি কারণ আমরা রাগী ছিলাম। এ বিষয়ে আসলে আমার বলার তেমন কিছুই নেই। বিয়েকালীন আমি একঘেয়েমিতে মরেছি।’

অনন্য স্টাইলের জন্য খ্যাত মনরোর মৃত্যু এখনো রহস্যাবৃত। শেষের দিকে জীবনের ওপর বিতৃষ্ণা জন্মেছিল তার। সবার ধারণা অভিমানী এই অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন। সেই মৃত্যুজট অবশ্য এখনো খোলেনি। মনরো এখনো সজীব তরতাজা বিশ্ববাসীর অন্তরে। সেই ইমেজ সারাজীবন টিকে থাকবে। তিনি বুড়ো হবেন না কখনোই।

No comments

Powered by Blogger.