এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল-সাংস্কৃতিক বিনিময়, সহযোগিতা ও উন্নয়ন by ইমতিয়াজ আহমেদ

বাংলাদেশে বসে ভারতের সব টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায়, কিন্তু ভারতে বসে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায় না। এর কারণ টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ।


কেন এটা ঘটছে? নিরাপত্তা কিংবা রাজনৈতিক বিষয়ে উদ্বেগ এখানে অবান্তর। এ ধরনের ওয়ানওয়ে ট্রাফিকের কারণে ভারতের জনগণ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার একটি সহজ সুবিধা থেকেই শুধু বঞ্চিত হচ্ছে না, একই সঙ্গে ভারতের 'আধিপত্যবাদী' অভিলাষ বিষয়ে সমালোচকদের অভিযোগ তোলারও সুযোগ করে দিচ্ছে

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সভ্যতা স্বতন্ত্র সত্তা, তবে তা রাজনীতি কিংবা ব্যবসার কারণে যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কৃতির কারণে। রাজনৈতিকভাবে তারা দীর্ঘ সময় ঔপনিবেশিক শাসনাধীন ছিল। অর্থনৈতিকভাবে তারা দরিদ্র হয়েছে; কমেছে ক্ষমতা। কিন্তু যা তাদের একত্র রেখেছে, সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য অনুপ্রেরণা ও নৈতিক বল জুগিয়েছে; সেটা হচ্ছে সংস্কৃতি।
ইতিহাস থেকে আমরা জানি যে, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বুদ্ধদেবের বাণী কাছে ও দূরের এলাকায় পেঁৗছে দিয়েছিলেন। নবম শতাব্দীতেই তারা ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে জাপানে পেঁৗছাতে পারেন। পরে চীন থেকে ফেরার সময় একজন সন্ন্যাসী জাপানে নিয়ে আসেন কয়েক ব্যাগ চা। এখন আমরা চা উৎসব ছাড়া জাপানকে কল্পনাও করতে পারি না! বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বাণিজ্যের কথা ভাবেননি; লাভের প্রশ্ন তো ছিলই না। আর ঠিক এ কারণেই অহিংসা ও বিশ্বজনীনতা যেমন মানব সভ্যতার বিকাশে ভূমিকা রেখেছে, তেমনি অবদান শিল্পিত উপায়ে চা-পানের।
পঞ্চদশ শতকে ঝাঙ হির সমুদ্রযাত্রাও ভিন্নতর কিছু নয়। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের (১৪৯২) ৭১ বছর আগে ১৪২১ সালেই তিনি আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন বলে সম্মানিত হচ্ছেন। চীনে ফিরে তিনি সম্রাটের কাছে বিশ্ব সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পরে ইউরোপীয় যেসব অভিযাত্রী একই ধরনের অভিযানে বের হয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে ধর্মপ্রাণ এ মুসলিমের কতই না পার্থক্য ছিল! '১৪২১ :দি ইয়ার চায়না ডিসকভারড আমেরিকা' গ্রন্থে গাভিন মেনজিস লিখেছেন, চীনা ও ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের উদ্দেশ্য ভিন্ন ছিল। স্পেনীয় ও পর্তুগিজদের নজর ছিল নানা ধরনের সম্পদ, সোনাদানা ও মসলা সংগ্রহে। ক্যাপ্টেন ঝাঙ হি পরিচালিত গ্রেট চীনা বহর বৈজ্ঞানিক গবেষণা কাজে নিয়োজিত ছিল, যা সাড়ে ৩শ' বছর পর ক্যাপ্টেন কুকের আগে ইউরোপীয়রা ভাবতেও পারেনি।
কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা এটাও জানি যে, ঝাঙ হিকে সম্রাট ঝু দির নির্দেশে সমুদ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে হয়। বজ্রপাতে নিষিদ্ধ নগরী ধ্বংস হয়ে গেলে সম্রাট মনে করেন, সমুদ্রযাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঈশ্বরই এ কাজ করেছেন! তবে পরবর্তী সম্রাট অ্যাডমিরাল ঝাঙয়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করে তাকে মক্কা যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা প্রায়ই পোপের আশীর্বাদ এবং পবিত্র বাইবেল সঙ্গে নিয়ে আদিবাসী বা স্থানীয়দের সভ্য করার নামে বিশ্বের নানা প্রান্তে উপনিবেশ স্থাপনে বেরিয়ে পড়েন।
রবীন্দ্রনাথ ১৯১৬ সালে জাপান সফরের সময় সূর্যোদয়ের এ দেশটিকে অনুকরণ না করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। 'যোগ্যরাই টিকে থাকে' এবং 'নিজেকে সাহায্য কর এবং এতে অন্যদের কী মূল্য দিতে হবে তার প্রতি নজর দেওয়ার দরকার নেই...'_ এসব ধারণা তার কাছে ছিল বিপজ্জনক। পশ্চিমা জাতীয়তাবাদ যে শৈশব থেকেই ঘৃণা করতে শেখায়, সেটা কবিগুরুর নজর এড়ায়নি। এভাবে প্রতিবেশীর প্রতি এবং এক দেশ কর্তৃক অন্য দেশের প্রতি অব্যাহত হুমকি সৃষ্টি করা হয়। বিষাক্ত হয়ে ওঠে মানবতার মূল ভিত।
জাপানের কী পরিণতি হযেছিল_ সেটা এখানে বলার দরকার নেই। ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ চীন সফর করেছিলেন। তার মনে হয়েছিল, নিজের ভূমিতেই তিনি ফিরে এসেছেন। তিনি এটা লিখেছেন, হয়তো পূর্বজন্মে কোনো সন্ন্যাসী হিসেবে পাহাড়ের কোনো গুহায় মুক্ত জীবন ছিল তার।
আর ঠিক এটাই আমরা হারিয়েছি! এর কারণ শুধু দু'শ' বছরের ঔপনিবেশিক শাসন নয়। এ শাসকদের পরাজিত করতে গিয়ে জাতি ও জাতীয়তাবাদের নামে যে ধারণা প্রচার করা হয়েছে, সেটাও যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঔপনিবেশিক-উত্তর যুগের শাসকরা প্রতিযোগিতার পথে চলতে চেয়েছে। তারা সম্পদ ও ক্ষমতা অর্জন করতে গিয়ে প্রায়ই দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রের দোহাই দিয়েছে এবং ভুলে গিয়েছে_ বিচ্ছিন্নতা দারিদ্র্য এবং ঐক্য সম্পদ তৈরি করে। তারা এটাও বুঝতে চায়নি যে, অনেক অনেক আগের সহযোগিতার নীতিই বর্তমান দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার পথ।
তবে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। এ জন্য কাজ করেছে দুটি উপাদান_ বিশ্বায়ন এবং প্রযুক্তি। সাংস্কৃতিক ও সহযোগিতার বিনিময় কীভাবে সভ্যতার সত্তার পুনরুজ্জীবন ঘটায়, সেটা দেখা যাক।
চূড়ান্ত ফল বিচারে বিশ্বায়ন হচ্ছে দেশগুলোর প্রতিযোগিতা ও বিচ্ছিন্ন পথ ধরে চলার পরিবর্তে উইন-উইন সম্পর্ক স্থাপন। এটা কেবল বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে নয়, যৌথভাবে উৎপাদন করেও। এর উদাহরণও রয়েছে হাতের কাছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় পোশাক উৎপাদক। তবে মেইড ইন বাংলাদেশ নামে বিশ্বের নামিদামি শোরুমে যে পোশাক পাওয়া যায়, সেটা হচ্ছে কয়েকটি দেশের মিলিত চেষ্টার সর্বশেষ ধাপ। বাংলাদেশ তার স্পিনিং শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় তুলার ৩৫ শতাংশ আমদানি করে উজবেকিস্তান এবং ২০ শতাংশ ভারত থেকে। স্পিনিং ও ডায়িং মেশিন এক সময় আসত জার্মানি থেকে। এখন বেশি বেশি করে তার স্থান নিচ্ছে চীন। পোশাকের ডিজাইন আসে মিলান, প্যারিস বা নিউইয়র্ক থেকে। হয়তো আরও এক বা একাধিক দেশ থেকে আসে আরও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য। তারপর কাটিং ও স্টিচিং কাজ হয় বাংলাদেশ। আইবিএম কম্পিউটারের একাংশ তৈরি হয় সিঙ্গাপুরে, কিছু থাইল্যান্ডে। এর পর সংযোজনের কাজটি সম্পন্ন হয় মালয়েশিয়া বা চীনে। ক্রেতা হয়তো গর্বের সঙ্গেই বলে বেড়ায় যে, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি একটি ব্র্যান্ড কম্পিউটার তার রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্য-পুঁজি-ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি বিশ্ব এখন উৎপাদনেরও আন্তর্জাতিকীকরণ প্রত্যক্ষ করছে। প্রতিযোগিতার স্থান নিচ্ছে বাধ্যবাধকতার সহযোগিতা। আর ঠিক এখানেই এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের গভীরতা পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে, যা বিশ্বায়নের সৃষ্ট সম্ভাবনাকে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে।
প্রযুক্তিও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ব্লগ, স্কাইপে ও টুইটার জীবনের অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের বিস্তৃতি ব্যাপক।
আমি মনে করি, বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তি সম্ভাবনার কারণে এ অঞ্চল নিজের এলাকা এবং বাইরে আরও বড় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। সর্বোত্তম ও সৃজনশীলভাবে তা কাজে লাগানোর জন্য দুটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দরকার।
একটি হচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি। এ অঞ্চলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে সেগুলো দেশপ্রেমিক আবেগে পরিচালিত, মূল লক্ষ্য ন্যাশনাল স্টেটের স্বার্থ সংরক্ষণ। তারা নিজেদের বাইরে যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভাণ্ডার, তার প্রতি মনোযোগ দেয় না। সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা অর্থপূর্ণ করে তোলার প্রয়োজনেই ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে অন্যত্র মেলে না এমন শিক্ষার সুযোগ থাকবে।
আমি আগেই জাপানের চায়ের উৎসবের কথা বলেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় চায়ের রয়েছে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। আসামের মনিরাম দত্ত বড়ূয়ার (মনিরাম দেওয়ান নামেই পরিচিত) সরলতার কারণেই ব্রিটিশরা ১৮২০-এর দশকের প্রথমদিকে আসামের চায়ের কথা জানতে পারে। তিনিই প্রথম ভারতবর্ষে ব্যক্তিগত চায়ের বাগান শুরু করেন। অথচ অনেক ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ভুলভাবে ফার্স্ট আসাম লাইট ইনফ্যান্ট্রির লে. কর্নেল এফএস হানেকে এ কৃতিত্ব দিয়েছেন। মনিরাম দেওয়ান ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহীদের পক্ষ নেওয়ায় ব্রিটিশরা তাকে ফাঁসি দেয়। ভার্চুয়াল কোর্স বিশ্ব পানীয় হয়ে ওঠা চায়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আনন্দ-বেদনার ইতিহাসের পাশাপাশি বিচিত্র-বহুমুখী সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন বুঝতেও সহায়তা করবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রত্যাশা পূরণে কীভাবে ব্যর্থ হচ্ছে তার একটি উদাহরণ দিয়েছেন আশীষ নন্দী। তিনি জানান, ভারতে বর্তমানে তিনশ'র মতো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫০-৬০টিতে রয়েছে সঙ্গীতের কোর্স। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০-৮০ বছর ধরে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতও পড়ানো হয়। কিন্তু এর কোনোটিতেই প্রকৃত বিশ্বমানের কোনো শিল্পী সৃষ্টি হয়নি। গুরুর কাছে দশকের পর দশক ধরে শিষ্যের সাধনা ছাড়া এটা কি সম্ভব? আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের সীমাবদ্ধতা অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে। একইভাবে আমরা বলতে পারি নাচের কথা।
প্রযুক্তির উন্নয়ন এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে সীমিত পর্যায়ে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কঠিন হওয়ার কথা নয়। এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে আরেকটি উপাদান প্রয়োজন_ মহাশূন্যে এশিয়া-প্যাসিফিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ। একইভাবে সার্কভুক্ত দেশগুলোও শিক্ষা ও গণমাধ্যম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অডিও-ভিজুয়াল মিডিয়া, বিশেষ করে টেলিভিশন কর্মসূচির ক্ষেত্রে যা চলছে, সেটা ওয়ানওয়ে ট্রাফিক। বাংলাদেশে বসে ভারতের সব টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায়, কিন্তু ভারতে বসে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায় না। এর কারণ টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ। কেন এটা ঘটছে? নিরাপত্তা কিংবা রাজনৈতিক বিষয়ে উদ্বেগ এখানে অবান্তর। এ ধরনের ওয়ানওয়ে ট্রাফিকের কারণে ভারতের জনগণ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার একটি সহজ সুবিধা থেকেই শুধু বঞ্চিত হচ্ছে না, একই সঙ্গে ভারতের 'আধিপত্যবাদী' অভিলাষ বিষয়ে সমালোচকদের অভিযোগ তোলারও সুযোগ করে দিচ্ছে। এ অঞ্চলের সমৃদ্ধির স্বার্থে আমাদের নতুন করে ভাবতেই হবে। সার্ক এডুকেশনাল অ্যান্ড মিডিয়া স্যাটেলাইট এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। এশিয়া-প্যাসিফিক এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল স্যাটেলাইটের ভূমিকাও ভিন্নতর কিছু হবে না। এখানেও আমরা রবীন্দ্রনাথের এ মন্তব্যে ভরসা রাখতে পারি_ 'বিচ্ছিন্নতা দারিদ্র্য এবং ঐক্য সম্পদ তৈরি করে'। একটি দেশের পক্ষে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমের জন্য উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। একটি হিসাবে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় হারিকেন ট্র্যাক ও মনিটর করার মতো একটি উপগ্রহ তৈরিতে ২৯ কোটি ডলার প্রয়োজন পড়ে। আর তা উৎক্ষেপণে ব্যয় পড়ে ৫ থেকে ৪০ কোটি ডলার। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্ধশতাধিক দেশের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা কিছুই না। কোন দেশ কত ব্যয় বহন করবে এবং পরিচালনা পদ্ধতি কী হবে সে ফর্মুলা বের করা কঠিন কাজ নয়। এ পথে চললে সংস্কৃতি বিনিময় ও সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ে আমরা প্রবেশ করতে পারি। 'আমি স্বপ্ন দেখি, অতএব আমার অস্তিত্ব বিদ্যমান!'_ আমি নিশ্চিতভাবেই এ কথা বলতে চাই।

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : অধ্যাপক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 

No comments

Powered by Blogger.