প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আছে, থাকবে

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার মিত্রদের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার আরও গভীর করছে। তারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি হিসেবে আছে, আগামীতেও থাকবে। ঠিক যেমন চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শক্তি।
চীন সফররত মুলেন গতকাল সোমবার বেইজিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শক্তি হিসেবে আছে, আগামীতেও থাকবে। ঠিক যেমন চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শক্তি। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।
চীনা সেনাপ্রধান জেনারেল চেন বিংডের আমন্ত্রণে চার দিনের চীন সফরে গেছেন অ্যাডমিরাল মুলেন। গতকাল সোমবার তাঁরা বেইজিংয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জেনারেল চেন বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁরা ‘বেশ কিছু অভিন্ন ক্ষেত্র’ খুঁজে পেয়েছেন। তবে কিছু ইস্যুতে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
জেনারেল চেন বলেন, তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে বিরোধের বিষয়টিও ছিল।
ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ায় ক্ষুব্ধ বেইজিং। দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
চীনা সেনাপ্রধান দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর মহড়ার সময়কে ‘যথাযথ নয়’ বলে বর্ণনা করেন।
মুলেনের সঙ্গে বৈঠকের পর চেন সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধে ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপের কোনো ইচ্ছা নেই—যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার তাদের এই মনোভাব ব্যক্ত করেছে।
কথায়-কাজে আরও সংযত ও দূরদর্শী হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান চেন। দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার ওপর ছয়টি দেশের দাবি রয়েছে। সাগরটিতে তেল ও গ্যাসের বিপুল মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গতকাল বেইজিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুলেন আরও বলেন, ‘আমরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি হিসেবে আছি, আগামীতেও থাকব। যেমন চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শক্তি।

No comments

Powered by Blogger.