বাজ্জোকে ছাড়িয়ে

রোমার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল, সবচেয়ে বেশি ম্যাচ—এসব রেকর্ডই তাঁর। পরশু রাতে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন ফ্রান্সেসকো টট্টি। দুই গোল করে বারির বিপক্ষে রোমাকে জিতিয়েছেন ৩-২ ব্যবধানে। এই দুই গোল কিংবদন্তি রবার্তো বাজ্জোকে ছাড়িয়ে তাঁকে নিয়ে গেল সিরি ‘আ’র সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তালিকার পঞ্চম স্থানে।
খেলার ৩০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরানোর পাশাপাশি সিরি ‘আ’তে বাজ্জোর ২০৫ গোলের কীর্তি স্পর্শ করেন টট্টি। ২৭ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে সিরি ‘আ’তে করেন নিজের ২০৬তম গোল, বাজ্জোকে পেছনে ফেলে ফ্রান্সেসকো টট্টির নাম ওঠে যায় পাঁচে। তাঁর ওপরে কেবল ইতালিয়ান কিংবদন্তি সিলভিও পিওলা (২৭৪ গোল), সুইডেনের গানার নর্দালহল (২২৫ গোল), ইতালির জিউসেপ্পে মিয়াৎজা (২১৬টি) ও ইতালো-ব্রাজিলিয়ান হোসে আলতাফিনি (২১৬টি)।
সেই ১৯৯৩ সালের ২৮ মার্চ ব্রেসিয়ার বিপক্ষে রোমার জার্সি পরে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। প্রথম গোলের দেখা পান ১৯৯৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, ফগিয়ার বিপক্ষে। সেই থেকে একই ক্লাবে খেলে রোমার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছেন। টট্টিও মনে করেন তিনিই রোমের ‘রাজা’। কিংবদন্তি বাজ্জোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে টট্টি এই আভাসও দিলেন, এখনই বুট জোড়া তুলে রাখার কথা ভাবছেন না, ‘রোমের রাজা এখনো মরেনি। সে কখনো মরবেও না। আমি জানি আমি কী দিতে পারি। আমি খুশি, আরেকটি রেকর্ড গড়লাম এবং বাজ্জোর মতো মহান খেলোয়াড়ের মতো আরেক ধাপ এগোলাম। আমি এভাবেই খেলে যেতে চাই।’
আনন্দের দিনে একটা হতাশাও আছে টট্টির। সুযোগ পেয়েও হ্যাটট্রিক হাতছাড়া করেছেন। ৭৯ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি কিক নিতে গিয়ে বল পোস্টে লাগান তিনি। তাঁর এই হতাশা আরও বড় হতো যদি ইনজুরি সময়ে জয়সূচক গোলটি না করতেন আলিয়েন্দ্রো রোসি।

No comments

Powered by Blogger.