ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ডে বেশ কয়েকটি পরাঘাত

ভূমিকম্পে ক্রাইস্টচার্চে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরুপণ করার চেষ্টা করছেন নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তারা। এদিকে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প-পরবর্তী পরাঘাত অনুভূত হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি বলেছেন, কমপক্ষে ৯০টি ভবনের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ভবনের অনেকগুলো হয়তো ভেঙে ফেলতে হবে।
রেডিও নিউজিল্যান্ড জানায়, ক্রাইস্টচার্চ থেকে রাত্রীকালীন কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে শহরের কেন্দ্রস্থল এখনো ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জন বলেন, শহরের দিকে ধেয়ে আসা ঝড়ের কারণে আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
ঝোড়ো বাতাসের কারণে দুর্বল হয়ে ভবন আরও ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শহরের মেয়র বব পার্কার ক্ষয়ক্ষতিকে অপরিমেয় হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ভূমিকম্পে কেউ মারা যায়নি। এটা ‘সম্পূর্ণ অলৌকিক’ ঘটনা।
গত শনিবার ভোররাতে নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় বেশির ভাগ মানুষই ঘুমাচ্ছিল।
নিউজিল্যান্ডের সরকারি গবেষণা সংস্থা জিএনএস সায়েন্স জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ক্রাইস্টচার্চের ১৩ মাইল পশ্চিমে।
সিভিল ডিফেন্সের হিসাবে ভূমিকম্পে পাঁচ শতাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চের বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। তবে শহরের বিশাল একটি অংশে এখনো পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চ ও আশপাশের এলাকার স্কুলগুলো অন্ততপক্ষে আগামী বুধবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ভূমিকম্পে ভবনগুলোর অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখছেন প্রকৌশলীরা।
ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৩০০ লোক জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

No comments

Powered by Blogger.