ফ্রান্সকে নিয়ে মালুদার সত্যোপলব্ধি

বিশ্বকাপের কলঙ্কিত অধ্যায়কে পেছনে ফেলে ফ্রান্স ফুটবলে শুভ্র ভাবমূর্তি ফিরিয়ে দেবেন বলেই দায়িত্ব নিয়েছেন ’৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য লরাঁ ব্লাঁ। কিন্তু পথে নেমেই ধাক্কা। নতুন কোচ ব্লাঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স দুই ম্যাচ খেলে হেরেছে দুটিতেই। নরওয়ের কাছে হারের পর গত শুক্রবার ইউরো বাছাইপর্বও তারা শুরু করল বেলারুশের কাছে হেরে।
ঘরের মাঠে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ৭৮ নম্বর দল বেলারুশের কাছে পরাজয়ে দেশবাসী ভীষণ হতাশ। হতাশ ফ্রান্সের খেলোয়াড়েরা। হতাশ অধিনায়ক ফ্লোরেন্ত মালুদাও। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তিনি এটা বুঝতে পারছেন, এই যন্ত্রণা যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই মঙ্গল।
বেলারুশের কাছে পরাজয়ে ইউরো বাছাইপর্ব উতরানোর পথটা কঠিন হয়ে গেছে। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে নতুন উদ্যমে পুনর্গঠিত হওয়াই একমাত্র পথ। মালুদা তাই বলছেন, ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের অবশ্যই ‘পরাজয়ের ঘৃণা’ ঝেড়ে ফেলে এককাট্টা হতে হবে। শুধু বেলারুশের ম্যাচ নয়, ফ্রান্সের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেই হতাশ নতুন অধিনায়ক, ‘ফিফা র‌্যাঙ্কিংই বলছে ব্যর্থতার গল্প। আমরা বিশ্বের ২১ নম্বর দল! আমরা নামছি এবং খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করছি।’
ফ্রান্সের সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার ও বর্তমানে উয়েফার প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি বলেছেন, ফ্রান্স দলে বর্তমানে খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় নেই, নেই মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। মালুদাও একমত। ফ্রান্স দল এখন তারকাশূন্য!
আগের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ফ্রান্স এবার প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছে। একেবারেই কলঙ্কিত বিদায়, স্ট্রাইকার নিকোলাস আনেলকা কোচকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে বহিষ্কৃত হয়েছেন, পরে তাঁর খেলোয়াড়েরা করেছেন বিদ্রোহ। এমন পতনের ধারায় নরওয়ে ও সর্বশেষ বেলারুশের কাছে হার। সেই ১৯৩৭ সালের পর এই প্রথম টানা চার ম্যাচে হারল ফ্রান্স।
তবে মালুদাদের এই শোক নিয়ে পড়ে থাকলে চলছে না। কারণ আজ বাদে কালই আবার ইউরো বাছাইয়ে নামতে হচ্ছে তাদের। প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপের অন্যতম সেরা দল বসনিয়া-হার্জেগোভিনা। একে তো কঠিন প্রতিপক্ষ, তার ওপর ফ্রান্সকে খেলতে হবে প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে। উচ্চাশায় বুক বাঁধতে পারছেন না কোচ ব্লাঁ। তবে একটা স্বস্তির সংবাদ আছে। বেলারুশ ম্যাচ মিস করলেও কোচ চাইলে কাল মাঠে নামাতে পারবেন করিম বেনজেমা, সামির নাসরি, জিমি ব্রায়ান্ড, লুইস সাহাদের।

No comments

Powered by Blogger.