জার্মানি জিতবে ২-০ গোলে

টেকনিক্যাল দিক দিয়ে আলজেরিয়া হয়তো আহামরি গোছের নয়। কিন্তু সেই ঘাটতি তারা পুষিয়ে দিতে পারে প্রাণপণ দৌড় আর জীবন বাজি রেখে খেলার মানসিকতা দিয়ে। বিশ্বকাপের একমাত্র আফ্রিকান কোচ সাদানে আছেন ওদের পথ দেখাতে। যদিও তাঁর প্রস্তুতি বিঘ্নিত হয়েছে ইনজুরির আক্রমণে। অধিনায়ক ইয়াজিদ মনসৌরিকে বসিয়ে খেলাতে হচ্ছে হাসান ইয়েবদাকে। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতিটা খুব একটা ভালো হলো না।
মাত্র ২০ লাখ মানুষের একটি দেশ স্লোভেনিয়া, কিন্তু ওরা দুর্দান্ত খেলছে বাছাই পর্বে। চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়েছিল। সেখান থেকে উঠে এসে রাশিয়াকে প্লে-অফে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পেয়েছে তারা। দলে বড় কোনো তারকা নেই। তবে অধিনায়ক ছাড়াও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রবার্ট কোরেন, কোলোন স্ট্রাইকার নোভাকোভিচ এবং গোলরক্ষক হানদানোভিচ ওদের মূল খেলোয়াড়। যদিও বাস্তবতা হলো স্লোভেনিয়া আর আলজেরিয়া এই গ্রুপের তৃতীয় আর চতুর্থ দল হিসেবে বাদ পড়বে প্রথম রাউন্ডেই।
কৌতুহল জাগানিয়া একটি ম্যাচে জার্মানি মুখোমুখি হচ্ছে শক্ত প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার। আমার অনুমান এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া গোল বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে খেলবে এবং জার্মানিকে হতাশ করতে চাইবে। সেই হতাশার ফায়দা তারা নিতে চাইবে সেট পিস আর পাল্টা আক্রমণে গোল করে। অন্যদিকে জার্মানি সুশৃঙ্খল আর ধৈর্য্যের মিশেল নিয়ে খেলবে, দুই উইংয়ে পোডলিস্ক আর মারিনকে দিয়ে বার বার আক্রমণ চালিয়ে যাবে, বক্সে উড়ে আসবে দুর্দান্ত সব ক্রস।
জার্মানির এই দলটা অভিজ্ঞতা আর তারুণ্য দিয়ে গড়া। তরুণদের অনেকেই গত মৌসুমে অনুর্ধ ২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলে ছিল। ৪-২-৩-১ ফরম্যাট নিয়ে খেলছে জার্মানি, ফলে আমি আশা করছি, ওজিল আর মারিন বেশ প্রভাব রাখবে আর সামি খেদিরা বালাকের অনুপস্থিতির ফলে পেয়ে যাওয়া সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাবে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এভারটন মিডফিল্ডার টিম কাহিল গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং জার্মানির জন্য হুমকি। গোলরক্ষকত সোয়ার্জার প্রাপ্য সমীহ কখনো পায়নি। এ ছাড়া লুকাস নিল, এমারটন আর কেওয়েল অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমার পূর্বানুমান হলো, জার্মানি ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতবে।
সার্বিয়া-ঘানা ম্যাচটির দুই প্রতিপক্ষই সমান শক্তিধর বলে ম্যাচটা যে কারো দিকেই যেতে পারে। ম্যানইউয়ের ভিদিচ আর চেলসির ইভানোভিচ আছে বলে সাবির্য়ানদের রক্ষণ খুবই দৃঢ়। মাঝমাঠেও ইন্টার মিলানের স্ট্যানকোভিচের মতো খেলোয়াড় আছে। আর স্ট্রাইকার নিকোলা জিগিচ টুর্নামেন্টের অন্যতম তারকা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। ম্যাচটা তারা ফেবারিট হিসেবে হয়তো শুরু করবে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। ঘানাও শক্তিশালী কিন্তু বয়সে তরুণ। এসিয়েনকে ইনজুরির কারণে হারিয়ে ফেলাটা শেষ পর্যন্ত ওদের প্রত্যাশায় বড় ধরনের আঘাত হয়ে দেখা দিতে পারে। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পান্টসিল আর মেসশাহ তো বটেই, গত বছঠর ফিফা অনুর্ধ ২০ বিশ্বকাপ জেতা তরুণ তারকা মিডফিল্ডার বোয়েটাং আর অ্যাপিয়ার ওপরও দল অনেক বেশি নির্ভর করবে। আফ্রিকান দল হিসেবে ওদের সবচেয়ে সুবিধা হলো, দলের পেছনে থাকবে বিরাট সমর্থন। এবং পরিবেশটাও থাকবে ওদের পক্ষে মানানসই।

No comments

Powered by Blogger.