দু দলের একই প্রেরণা

জার্মানিতে গত বিশ্বকাপে দুটি দলই ছিল। তবে সার্বিয়া-ঘানা দুই দল দুই রকমের অভিজ্ঞতা নিয়েই শেষ করেছিল জার্মানি ২০০৬ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আজ নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে যখন এই দুটি দল মুখোমুখি, দুই শিবিরেই ফিরে ফিরে আসছে ২০০৬ বিশ্বকাপ। সার্বিয়া চায়, গত বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্স করতে। আর ঘানা জার্মানি বিশ্বকাপে পাওয়া সাফল্যে চায় রং চড়াতে।
প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই গতবার ফুটবল-বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ঘানা। উঠে গিয়েছিল তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে। ঘানা দলে সেই সুখস্মৃতির চর্বণ, প্রেরণা বলতেও এটাই। নিজ মহাদেশের বিশ্বকাপে এবার ২০০৬-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার সংকল্প ঘানা দলে। ইন্টার মিলানের মিডফিল্ডার সুলে মুনতারি যেমন বলেছেন, ‘এবার আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল।’
লক্ষ্য পূরণে ঘানা নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলেছে। তবে খুব পরিশ্রমও করেছে। তবে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে যেকোনো দুটি দলকে পেছনে ফেলতে হবে ঘানাকে। অনেকেরই ধারণা, জার্মানি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে পরবর্তী রাউন্ডে। লড়াইটা হবে দ্বিতীয় স্থানের জন্য। ঘানাও হয়তো সেটাই ধরে নিয়েছে। তাই তো ডিফেন্ডার সারপেই বলেছেন, আজকের ম্যাচটিই ঘানার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সার্বিয়া দলের চিন্তাটাও একই রকম। গত বিশ্বকাপে মন্টেনেগ্রোর সঙ্গে একসঙ্গে খেলা সার্বিয়া ডুবেছিল গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই হেরে যাওয়ার লজ্জায়। সবচেয়ে লজ্জা হয়ে এসেছিল আর্জেন্টিনার কাছে ০-৬ গোলে পরাজয়টা। ওই লজ্জা ভুলতে এবার কিছু একটা করতে চায় সার্বিয়ানরা। সেই কিছু একটা বলতে দ্বিতীয় রাউন্ডকে পাখির চোখ করেছে তারা। আর নির্দিষ্ট করা লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আজ ঘানার বিপক্ষে ভালো করতে হবে সার্বিয়াকে। অধিনায়ক দেজান স্তানকোভিচও বলছেন সেটা।
এই বিশ্বকাপটা গতবারের মতো হবে না বলেই বিশ্বাস স্তানকোভিচের। তবে ঘানার বিপক্ষে ম্যাচটিকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সার্বিয়ার অধিনায়ক, ‘ঘানার বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওরা আফ্রিকার সেরা দল এবং গতিময় ফুটবল খেলে।’
 সার্বিয়া-ঘানা
নেমানিয়া ভিদিচ
বর্তমান বিশ্বের সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের একজন। ডিফেন্স-অফেন্স দুই জায়গাতেই হেডে পারদর্শী। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা আর সুঠাম দেহটাও ভিদিচকে দেয় বাড়তি সুবিধা। দলে থেকেও গত বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা ও ইনজুরিতে। এবার নিশ্চয়ই সে আক্ষেপ ঘোচাতে চাইবেন!
স্টেফেন আপিয়াহ
বয়সভিত্তিক সব দল ও অলিম্পিকে খেলেছেন। ২০০৬ সালে ঘানার প্রথম বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তাঁর গোলেই জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছিল ঘানা। আর্মব্যান্ড এবারও থাকছে তাঁর হাতে। ঘানাকে আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে জ্বলে উঠতে হবে অধিনায়ককে।

No comments

Powered by Blogger.